প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ছামাদ পেলেন অটোরিক্শা
প্রকাশিতঃ ১:৩৩ অপরাহ্ণ | জুন ২২, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫০৯ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অটোরিকশা পেয়ে খুঁশি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস ছামাদ । বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম আব্দুস ছামাদের হাতে একটি অটো রিকশা তুলে দেন । এসময় জেলা পুলিশের অতিঃ পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী, কোতয়ালী মডেল থানার সার্কেল মোঃ আল আমীন, গৌরীপুর সার্কেল সাখের হোসেন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন ।
জানা যায়, গত মাসের ২৮ মে স্থানীয় গোয়াতলাস্থ একটি গ্যারেজ থেকে আব্দুস ছামাদের অটোরিকশাটি চুরি হয় । এরপর অটোরিকশাটি উদ্ধার করতে না পেয়ে আব্দুস ছামাদ প্রধানমন্ত্রীর মোবাইলে এসএমএস পাঠান । এসএমএসে ছামাদ প্রধানমন্ত্রীকে লিখেন, মা আপনি সারাদেশের মা । আমাকে একটু সাহায্য করুন। এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এই ম্যাচেজ পাওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ওয়াহিদা ম্যাডাম আমাকে এই ম্যাচেজ অবগত করেন। তিনি এর সুরাহা করতে বলেন ।
পরে অটোরিকশাটি উদ্ধারে ময়মনসিংহ তারাকান্দা থানার ওসি মাহাবুবুল হককে দায়িত্ব দেই । এসপি জানান, গ্যারেজ মালিক অবহেলা অথবা তার যোগাসাজশ রয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারনা করি । এক পর্যায়ে গ্যারেজের মালিক অনুতপ্ত হয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চান এবং ছামাদকে একটি অটোরিকশা কিনে দেয়ার অঙ্গিকার করেন ।
হারানো অটারিকশা ফিরিয়ে দিতে পেরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এসপি । অটোরিকশা পেয়ে যারপরনাই খুঁশি আব্দুস ছামাদও । এদিকে অতি অল্প সময়ে বাস্তবমুখী ও নিরপে মানুষ হিসেবে ওসি মাহবুবুল হক তারাকান্দা উপজেলায় বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। তারাকান্দা থানায় যোগদানের পর তিনি অল্প সময়েই আইনশৃঙ্খলা উন্নিত করে তারাকান্দাকে প্রায় অপরাধ ও মাদকমুক্ত এক ব্যতিক্রমী মডেল উপজেলায় পরিণত করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সৌহাদ্যপূর্ন আচরন ও সার্বিক সহায়তা প্রদান করে প্রায় সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পছন্দের ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তারাকান্দা থানায় যোগদানের পর থেকে নিজ যোগ্যতা আর দতার বলে উপজেলার সচেতন ও সাধারণ এলাকাবাসীর মন জয় করেছেন। সেই সাথে একজন সফল ওসি হিসেবে যত গুণাবলী প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সম হচ্ছেন। তারাকান্দা থানায় যোগদানের পর থেকে থানা এলাকা থেকে টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে। পুলিশী সেবা গ্রহীতাদের এখন আর দূর্ভোগ পোহাতে হয় না। মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদ বিরোধী অভিযানেও সফল হয়েছেন ওসি মাহবুবুল হক ।
নিষ্ঠাবান এই ওসিকে সার্বিককে সর্বাত্তক সহয়তা করে যাচ্ছেন তারাকান্দা থানার সকল অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা। ধনী-গরীব সবার জন্য ওসির দরজা সব সময় উন্মোক্ত করেছেন তিনি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করছেন ওসি মাহবুবুল হক। ময়মনসিংহ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, মানুষের সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রা করা আমার দায়িত্ব। ওসি হিসেবে যতদিন কর্মরত আছি, ততদিন আইন-শৃঙ্খলা রার্থে নিরলস ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করবো। যাতে করে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে ও সস্থিতে থাকতে পারেন।
তিনি বলেন, আমি মানবতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে সকল সমস্যা সমাধানের ল্েয মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। কেউ যদি কোথাও সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই করে আর সে ঘটনা যদি পুলিশকে জানানো হয় তাহলে তথ্য দাতার পরিচয় গোপন রেখে তাৎণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধ দমনের পাশাপাশি তারাকান্দা উপজেলাকে মাদক মুক্ত করার প্রত্যয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
মাদকের সাথে জড়িতদের সমাজ থেকে নির্মুল করা হবে। মাদকের েেত্র জিরো টলারেন্স দেখানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ছাড় পাবে না নাশকতাকারীরাও। জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যহত থাকবে।
তিনি অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক পরিহীত কারো সাথে কেউ যদি ব্যবহার খারাপ করে সে যত বড় নেতাই হউক না কেন উচিৎ জবাব দেওয়া হবে। আমার অধিনস্থ কোন অফিসার বা সদস্য কোন অপকর্ম করছে বলে প্রমানিত হলে আমাকে জানালে উদ্ধর্তন কর্তৃপরে সাথে আলোচনা সাপেে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, ওসি মাহবুবুল হক থানায় যোগদানের পর পূর্বেও যে কোন সময়য়ের চেয়ে তারাকান্দায় অপরাধ প্রবনতা কমে গেছে ।