হালুয়াঘাটে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার মূল আসামী কমিশনার শামছুসহ সকলের গ্রেফতার দাবী
প্রকাশিতঃ ৮:১২ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১,৫৭০ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার দক্ষিন মনিকূড়া গ্রামে নাফি আল নাজরান (১৮) নামে এক পলিটেকনিক্যাল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কমিশনার শামসুদ্দিনসহ অন্যান্য আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে পোষ্টার টানিয়ে প্রতিবাদ জানান নিহত নাজরানের পক্ষে এলাকাবাসী। দেখা যায়, ইতিমধ্যে হালুয়াঘাট বাজারের বিভিন্ন স্থানে কমিশনার শামছুসহ বাকী আসামীদের ছবি দিয়ে পোষ্টার লাগানো হয়। নিহত নাজরানার পরিবারের সাথে কথা বললে তারা বাকী আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান। গত ১৭ আগষ্ট শিক্ষার্থী খুন হলে তৎক্ষনাৎ ৪ জনকে আটক করলেও বাকী আসামীদেরকে এখনো আটক হয়নি বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নিহত নাজরানের পরিবার।
নাজরানের খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা নাজমুল হুদা। এদের মাঝে চারজন সিয়াম, সুলাইমান, অয়ন, হিমেলকে প্রথমদিনেই আটক করে পুলিশ। হত্যার অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, কমিশনার শামসুদ্দিন (৫০), দক্ষিন মনিকূড়ার হালিমের পুত্র রাকিবুল হাসান সুমন (১৬), সিদ্দিকের পুত্র সিয়াম (১৫), হালিমের পুত্র মেহেদি হাসান হিমেল (১৫), মজিবরের পুত্র অয়ন হাসান (১৬), গোলাম হোসেনের পুত্র ছাইফুল (১৫),আশিষ (১৬), আকনপাড়ার শামসুল আলম লিমনের পুত্র তাজ (১৬), আব্দুল মতিনের পুত্র সোহাগ (১৫), দক্ষিন মনিকূড়ার আলামিন (১৬), সন্ধাকুড়ার খাইরুল ইসলাম ভুট্টুর পুত্র সানি (১৬), পূর্ব মনিকূড়ার জামাল উদ্দিনের পুত্র রুকন (১৬)। উল্লেখ্য ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধায় নাদিয়া হক ঋতু নামে এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী মোবাইলের গেইম পেইজে “ক্লেস অফ ক্লেনস” নামে একটি মোবাইল গেইম খেললে সেখানে ঐ একই গ্রুপে উত্তরবাজার এলাকার হালিমের পুত্র সুমন(১৬) বাজে মন্তব্য করেন। পরে ঋতু বিষয়টি তার খালাতো ভাই নিহত নাজরানকে জানালে নাজরান তার প্রতিবাদ করেন। সেই আক্রোশের জের ধরে শুক্রবার রাত সাতটার দিকে সুমন তার সঙ্গীয় বন্ধুদের নিয়ে নাজরানকে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে ভোর পাঁচটায় হালুয়ঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায়। নিহত নাজরান গৌরিপুর পলিটেকনিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আর ঋতু দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। ঋতুর ধোবাউড়া রোদের এমদাদ মেম্বারের কন্যা।