ত্রিশালে চেচুয়া বিলের অলৈাকিক পানি পান করে শতাধিক মানুষ অসুস্থ্য
প্রকাশিতঃ ১১:৩৪ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৬, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১,১৫০ বার
মমিন তালুকদার, ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে চেচুয়া বিলের অলৈাকিক পানি পান রোগ-বালাই ভাল হওয়ার গুজবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছে। রোগ-বালাই ভাল হওয়ার আশায় নোংরা-কাঁদাযুক্ত পানি পান ও ঐ পানিতে গোসল করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে কয়েকশ শিশুসহ কয়েকশ নারী-পুরুষ। উপজেলা প্রশাসন, ত্রিশাল থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত মঙ্গল সকালে এলাকাবাসি হটাৎ লক্ষ্য করে যে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চেচুয়া বিলের মাঝ খানে কচুরিপনা সরে গিয়ে পানি বুদ বুদ করছে। এ দৃশ্য দেখে এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি একে অলৈাকিক পানি বলে উল্লেখ করলে লাখ লাখ শিশুসহ নারী-পুরুষ ঐ বিলের পানিতে গোসল করতে শুরু করে এবং পানি পান করা শুরু করে। কিছু ভন্ড প্রকৃতির লোক তাদের রোগ-বালাই হয়েছে বলে ফেইসবুকে ছড়ালে দিনদিন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে রোগ-বালাই ভাল হওয়ার আশায় নোংরা-কাঁদাযুক্ত পানি পান ও ঐ পানিতে গোসল করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে কয়েকশ শিশুসহ কয়েকশ নারী-পুরুষ। দিনাজপুরের সাইদুর রহমান তার পঙ্গু ছেলে বিজয় নিয়ে এসেছেন আরোগ্য লাভের আশায়। তিনি জানান,তিনি তার ঢাকার এক আতœীয়ের মাধ্যমে খবর পেয়ে এখানে এসেছেন। যৌশহরের মনোয়ারা বেগম জানান, তিনি ফেইসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে এখানে এসেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার ত্রিশালের রামপুর ইউনিয়নের কাকচর গ্রামের চকপাড়ায় সাইকেল, রিক্সা, ভ্যান,সিএনজি,মোটর সাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোতে করে অথবা পায়ে হেঁটে দলে দলে লোক আসছেন চেঁচুয়া বিলের পানি নিতে। অন্যদিকে, বিলের আসে পাশে গড়ে উঠেছে খালি বোতল বিক্রি করা সহ বিভিন্ন দোকান পাঠ। শনিবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুন নেছা বিউটি, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ উদ্দিন ও ত্রিশাল থানার ওসি আজিজুর রহমান সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে কু-সংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে চেঁচুয়া বিলের পানি, মাটি, কচুরিপানা ব্যাবহার না করার জন্য প্রথমে মাইকে আহ্বান জানান। এতে কাজ না হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ উদ্দিন আইন শৃংখলা বাহিনীদের লাঠি চার্যের আদেশ দিলে পরিস্থিতি মোটামোটি স্বাভাবিক হয়। ত্রিশাল থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, এটা বন্ধে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনে ময়মনসিংহ হতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য কল করে আনা হবে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ উদ্দিন জানান,পরিস্থিতির অবনতি হলে ১৪৪ধারা জারি হতে পারে।