মানুষের মাংস খাওয়া যেই দম্পতির নেশা!
প্রকাশিতঃ ১০:৫৮ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৭০৩ বার
অনলাইন ডেস্কঃ যথেষ্ট টাকা পয়সা রয়েছে হাতে। চাইলেই ভালো রেস্তোরাঁয় ঢুকতে পারে। অর্ডার করতে পারে ইচ্ছে মতো খাবার। কিন্তু রেস্তোরাঁয় যাবে কী! আসলে নজর তো নরমাংসে। তাই নিজেই খুনি হয়ে যায় নাটালিয়া বাকশিবা। নিজের স্বামীকেও তাতে সামিল করে।
রাশিয়ার নাগরিক নাটালিয়া বাকশিবা (৪৩)। তার স্বামী দিমিত্রি বাকশিবা (৩৫)। দিমিত্রি ‘ডেভিল’ নামেও পরিচিত। খুনি সন্দেহে গত বছর তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তদন্ত চলছিল। তার মধ্যেই তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে সেদ্ধ করা নরমাংস উদ্ধার করে পুলিশ। রেফ্রিজারেটর থেকে মেলে কাঁচা মাংসও। এ ছাড়াও রান্নাঘরে কাচের বয়ামের মধ্যে টুকরো টুকরো নরমাংস উদ্ধার হয়। তা নিয়ে চেপে ধরতে সম্প্রতি ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত বছর অক্টোবরে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে খুন করে তাদের মাংস খেয়েছে নাটালিয়া। তার শেষ শিকার ছিল রেস্তোরাঁ কর্মী ৩৫ বছরের এলেনা ভাশ্রুশেবা। দিমিত্রির সঙ্গে ওই নারীকে ফ্লার্ট করতে দেখে সে। তাতেই মেজাজ হারায়। স্বামীকে বাধ্য করে ওই নারীকে খুন করতে।
স্ত্রীর কথা মতো এলেনাকে নির্জন জায়গায় ডেকে পাঠায় দিমিত্রি। ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই নারীর। যার পর তার দেহ টুকরো টকুরো করে কেটে ফেলে দিমিত্রি। কাটা দেহর সঙ্গে প্রথমে নিজস্বী তোলে। তারপর সেগুলি ব্যাগে ভরে বাড়ি নিয়ে যায়। ওই নারীর দেহাংশই তাদের রেফ্রিজারেটর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রুশ তদন্তকারীদের দাবি, কোনও রকম মানসিক রোগ নেই নাটালিয়ার। বরং ঠান্ডা মাথাতেই সবকিছু ঘটিয়েছে সে। স্ত্রীর অপরাধে সামিল হলেও দিমিত্রি একটু ভিতু প্রকৃতির। তার ওপর ছড়ি ঘোরাত নাটালিয়া। জোর করে তাকে দিয়ে খুন করিয়েছে সে। আদালতে নাটালিয়ার শুনানি চলছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তার ১৫ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। সম্প্রতি দিমিত্রির যক্ষ্মা ধরা পড়েছে। চিকিৎসা সম্পন্ন হলে তার শুনানি শুরু হবে।