মাদক ব্যবসায়ীকে সভাপতি করায় ক্লাস বর্জণ শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মানববন্ধন
প্রকাশিতঃ ৬:৪০ অপরাহ্ণ | জুলাই ০১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৬৭ বার
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতাঃ : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বাঘবেড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এক মাদক ব্যবসায়ীকে সভাপতি করার অভিযোগে শনিবার সকালে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বাঘবেড় বাজারে দুই ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার ব্যবস্থাপনা কমিটি ভেঙ্গে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য নতুন কমিটি গঠনের জন্য শতাধিক এলাকাবাসি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ,কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঘবেড় উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ৭ জুন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ওই দিন (৭ জুন) নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে বাঘবেড় ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেমকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
এলাকায় আবুল হাশেম মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত বলে অভিভাবক ও এলাকাবাসির অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার বিদ্যালয় মাঠে অভিভাবকরা সভা করেন। মঙ্গলবার তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এই নিয়ে গত শুক্রবার বিকেলে অভিভাবক ও এলাকাবাসি সন্ধ্যায় শতাধিক এলাকাবাসি বাঘবেড় বাজারে ব্যবস্থাপনার কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
শনিবার সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বাঘবেড় বাজারে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাঘবেড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আহসান উল্লাহ ,সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আবু হারেজ ,৮ নংওর্য়াড আ.লীগের সভাপতি নরুল ইসলাম,শহর আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুল হক ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো.নাহিদ, আশরাফুল ইসলাম ও মো.সানি ইসলাম প্রমুখ।
বাঘবেড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.নুর ইসলাম বলেন,ইতিমধ্যে আবুল হাশেম একাধিকবার মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন। তার প্রমাণ আছে। কেন এই বির্তকিত ও মাদক ব্যবসায়িকে সভাপতি করা হবে। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও এলাকাবাসি প্রতিবাদ করছে।বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবদুল মন্নাফ বলেন, আবুল হাশেম আগে মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। এখন তিনি সেই ব্যবসা করেন কি না তা জানি না। তবে ক্লাসে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েকে নিয়ে গেছে। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।