আজ শনিবার , ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রবীণে প্রবীণে লড়াই এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স

সেহরির সময় শুধু ঢেঁড়ি ভাঁজী দিয়া ভাত খাইয়া রোযা রাখছি

প্রকাশিতঃ ৩:২৬ অপরাহ্ণ | মে ১৬, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৬৩ বার

সেহরির সময় শুধু ঢেঁড়ি ভাঁজী দিয়া ভাত খাইয়া রোযা রাখছি

ওমর ফারুক সুমনঃ এক বেটা দুইটা ঢেঁড়ি দিছিলো সেইটা দিয়ায় পতর (ছেহরী) খাইছি। আরেকজনে দুইডা কলা দিছিলো। এভাবেই চাইয়া চুইয়া খাইয়া রোযা রাখি। বয়স অইছে, কহন যে মইরা যাই, কষ্ট অইলেও রোযা ভাঙ্গিনা। পুলা ভাত দেয়না আমারে, আল্লাহি খাওয়াই। ভিক্ষা করি, কেউ দেয় এক মুঠো চাল, কেউ আবার দুর দুর কইরা তাড়াইয়া দেয়।বাবা দেখো, আমার পড়নের কাপড়টা। কত জায়গায় ছিইরা গেছে। আমারে একটা কাপড় কিইনা দিবা বাজান। শনিবার দুপুরে এভাবেই মন্তব্য করেছেন ভিক্ষুক মাজেদা। ৭০ বছর বয়সে এসেও প্রখর রোদে হাতে একটি লাঠিতে ভর দিয়ে হালুয়াঘাট থানা রোডে ভিক্ষা করা অবস্থায় সাক্ষাত মিলে এই বৃদ্ধা নারীর।বয়সের ভারে নুঁইয়ে পড়েছেন তিনি। তথাপিও পেটের ক্ষুধা নামক রাক্ষসটা এমন প্রখর রৌদ্রের মাঝেও ঘর থেকে বের হতে বাধ্য করেছে। সৃষ্টি জগতে কত বিচিত্র মানুষ সৃষ্টিকর্তা পাঠিয়েছেন বিচিত্র রকমভাবে। কেউ খেতে না পেরে ফেলে দেয়, আবার কেউ খেতেই পারেনা। অদ্ভুত দুনিয়া! যখন পরিচয় জানতে চাইলাম। ঠিকানা বলেন হালুয়াঘাট প্রশ্চিম বাজারে।দুকাঠা মাটির ভিটে রয়েছে। ছেলে সন্তানরা থাকলেও দেখেনা এমন অভিযোগ এই নারীর।ছেলে ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করে, কিন্তু মায়ের খোঁজ কখনো রাখেনা। এছাড়া পুত্র বধূর উপর বিস্তর অভিযোগ করেছেন তিনি। তার দাবী পুত্রবধূর কারনেই তার একটি মাত্র পুত্র সন্তান খাবার দেয়না তাকে। এই বয়সে এসেও একটি রোযাও ভাঙ্গেনি তিনি। নামাজ পড়েন পাঁচ ওয়াক্ত। কিন্তু নিয়তি তাকে আজ ভিক্ষুক বানিয়েছে। স্বামী হরমুজ আলী বিশ বছর আগে মারা গেছেন। বিধবা ভাতার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তিন চার মাস পর পর পনের শত করে টাকা দেয়, এ দিয়া কি আর চলে। ধার কইরা মাইগা আগেই খেয়ে শেষ হয়ে যায়। পড়নে নেই কাপড়! এই দেহেন ছিড়া কাপড়টা। আমাগর ভাগ্যে সুখ নেই। এই বলে অজোরে কাঁদতে শুরু করলেন তিনি——-

Shares