আজ শনিবার , ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রবীণে প্রবীণে লড়াই এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স

রাজধানীতে কোরবানির গোশতের হাট! কেজি ২৪০ টাকা !

প্রকাশিতঃ ১০:৫৬ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২২, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৭৭ বার

অনলাইন ডেস্কঃ এ বছর গরু কেনা থেকে শুরু করে হাসিল পরিশোধ এবং কসাইয়ের মজুরি দেয়ার পর কোরবানির গোশতের মূল্য দাঁড়িয়েছে কেজি প্রতি প্রায় আটশ থেকে নয়শ টাকা। অথচ সেই গোশতই এখন হাত ঘুরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৪০ টাকা দরে।

ঈদুল আজহার কোরবানি শেষে রাজধানী জুড়ে চোখে পড়ছে মাংসের হাট। শহরের অলিতে-গলিতে অস্থায়ী এ বাজারে খুব কম দামে গোশত বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর লিংক রোড, সূত্রাপুর, ধোলাই খাল, খিলগাঁও, রামপুরা, মিরপুরের মূল সড়ক ও অলিগলিতে এ দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। মূলত সকাল থেকে ভিক্ষুক এবং গরীব-দুস্থ মানুষেরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে যে গোশত সংগ্রহ করেছেন সেটাই তারা এসব স্থানে বিক্রি করছেন। নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের এ মাংস ক্রয় করতে দেখা গেছে। এছাড়া যারা কোরবানি দিতে পারেননি তারা সামর্থ্যমতো কমদামে বিক্রি হওয়া এসব গোশত কিনে ঘরে ফিরছেন।

এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন কিছু অসাধু মৌসুমী ব্যবসায়ীও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠাঁটারিবাজারের এক হালিম ব্যবসায়ী বলেন, দোকান থেকে গোশত কিনতে গেলে কেজি প্রতি কমপক্ষে ৪৮০-৫০০ টাকা লাগে। তাই এ সময় কমদামে কিছু গোশত সংগ্রহ করে রাখছি।

ঠিক একই কথা বললেন গেন্ডারিয়ার এক কাবাব ব্যবসায়ী। তিনি কাবাবের গোশত হিসেবে এগুলো সংগ্রহ করে রাখছেন।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব গোশতের দাম উঠানামা করছে। অর্থাৎ হাড়ের পরিমাণের ওপর নির্ভর করছে এসব গোশতের মূল্য। তাই কোথাও দুইশ’ টাকা কোথাও আড়াইশ’ টাকা। শিশুদেরও কোরবানির গোশত বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সূত্রাপুর লোহারপুলের সামনে এরকম এক গোশত বিক্রেতা বলেন, এসব গোশত রান্না করে খাওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। তার চেয়ে বরং ৩/৪ কেজি মাংস বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় সেটা দিয়ে চার দিন সংসার চালানো যায়।

এদিকে, এসব গোশত মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যাওয়ায় গোশতের মান প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে বিভিন্ন রকমের গোশত একত্রিত করে বিক্রি করা হচ্ছে কেজি দরে। অথচ ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়নি এসব গোশত।

খুব সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে গরীব-দুস্থ ও শিশুরা এসব গোশত বিভিন্ন বাসা থেকে সংগ্রহ করে একত্র করেন। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এগুলো সংরক্ষণে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। তাই এসব গোশত খাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, এসব গোশতে বিভিন্ন ধরনের জীবানু ও ব্যকটেরিয়া আক্রমণ করে। তাই এটা এড়িয়ে চলা উচিত।

Shares