নালিতাবাড়ীতে ত্রিশটির অধিক কোরআন পুড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা
প্রকাশিতঃ ৬:৪৪ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৭, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৬১ বার
মোঃ দৌলত হোসেন নালিতাবাড়ী:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার এক নিভৃত পল্লীতে ৩০টির অধিক কোরআন শরিফ ও বেশকিছু কায়দা-ছিপাড়া পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ভোররাতে একটি ক্বেরাতিয়া মাদরাসায় (মক্তবে) কোরআন পোড়ানোর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া উত্তরপাড়া গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে দীর্ঘদিন আগে ৫ শতক জমিতে কেরাতিয়া মাদরাসা বা মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয়রা। ওই মক্তবে সপ্তাহের শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন ভোর ছয়টা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা শুধুমাত্র কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করে। জহুরুল হক নামে একজন হাফেজ ওই মক্তবে পাঠদান করান।
আশপাশে কোন মসজিদ না থাকায় মক্তবটিতে স্থানীয় মুসল্লীরা নিজ উদ্যোগে নিজেরা ইমামতি করে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে থাকেন। ফলে মক্তব ও নামাযের সময় ব্যতীত ওই প্রতিষ্ঠানে কেউ থাকেন না। বরং নামাযের জন্য ভিটিপাকা টিনসেড ওই প্রতিষ্ঠানটির দরজা তালার বদলে শুধুমাত্র সিটকিনি দিয়ে আটকানো থাকে।
বৃহস্পতিবার ভোরে প্রতিদিনের মতো ফজরের নামায আদায় করতে মক্তবে যান স্থানীয় মুসল্লী মিরাজ আলী (৫৫)। দরজা খোলে ভিতরে প্রবেশ করে তিনি মেঝেতে কোরআন শরীফ ও কায়দা-ছিপাড়া পুড়তে দেখেন। এসময় আশপাশের লোকজনকে ডেকে বিষয়টি জানান তিনি। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন দ্রুত মক্তবে গেলে তারা মক্তবের কাঠের রেকে, রেখে দেওয়া অন্তত ত্রিশটির মতো কোরআন শরীফ ও বেশকিছু কায়দা-ছিপাড়া মেঝেতে জ্বলে ছাই হতে দেখেন। পর্যায়ক্রমে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ মানুষ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ছুটে আসেন পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খ্রীষ্টফার হিমেল রিছিল, সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল রায়হানা ইয়াসমিন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।