নিন্ম মানের কাজ ও অতিরিক্ত বরাদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ সওজ
প্রকাশিতঃ ৯:৫১ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০৪, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১২২ বার
শেরপুরের নালিতাবাড়ী সংবাদদাতা :
তথ্য অনুযায়ী, চৌরাস্তার মাঝ বরাবর কার ব্লক দিয়ে সাদামাটা একটি গোল চত্বর এবং এর চারপাশের রাস্তায় কোথাও তিনশ মিটার, কোথাও পাঁচশ মিটার করে গোল চত্বর থেকে শেষাংশ পর্যন্ত মিলিয়ে রাস্তা প্রশস্তকরার কথা। এ রাস্তার নিচের লেয়ারে আইএসজি বা বালুর স্তর ৩শ মিলিমিটার, ইটের খোয়া এবং বালু মিশিয়ে সাব-বেইস ২শ মিলিমিটার, এলসি পাথর ও বালু মিশিয়ে ১৫০ মিলিমিটার বেইস এবং সবশেষ ৫০ মিলিমিটার পুরো করে পাথরের সাথে বিটুমিন মিশিয়ে কাজ শেষ করার কথা। বর্তমানে বিটুমিন ও পাথরের শেষ স্তরের কাজ হলেও আগের স্তরগুলোতে সঠিকভাবে নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ আশপাশের বাসিন্দাদের। শেরপুর থেকে নাকুগাঁও যাওয়ার টার্নিং পয়েন্টে রাস্তার উচ্চতা নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এ পাশটায় রাস্তা আশপাশের জমি ও স্থাপনা থেকে এমনভাবে ঢালু বা নিচে করা হয়েছে যে, সামান্য বৃষ্টিতে খালের মতো স্রোত বয়ে যায়। এর ফলে রাস্তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। অন্যদিকে বর্ষাকালে যানবাহন থেকে পথচারী সকলেরই চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে আরও জানান, কাজের কোন তদারকি নেই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের মনগড়া কাজ করে চলে যাচ্ছে। বরাদ্দের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে অনেকেই জানান, সাদামাটা গোল চত্বর আর এতটুকু রাস্তা করতে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ সরকারে তথা দেশের অর্থ অপচয়েরই নামান্তর। তারা বলেন, যেখানে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে আছে সেখানে প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ অর্থ বরাদ্দ সওজ ও ঠিকাদারী প্রাতিষ্ঠানের পকেট ভারি করে অপচয় ছাড়া কিছুই না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ জানান, দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার বেশি এ কাজে লাগার কথা নয়। এখানে যে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে তা নিতান্তই অপচয়।
এদিকে স্থানীয়রা কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলায় সম্প্রতি পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বলেন। পরে সাময়িক বন্ধ থাকলেও পুনরায় কাজ চালিয়ে আসছে কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে এ কাজের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন অফিসে গিয়ে সরাসরি তথ্য নিতে অনুরোধ করেন।
শেরপুর সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, ডিজাইন করে বাজারদর অনুযায়ী সমীক্ষা করে তারপর বরাদ্দ করা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি দেখেন। কাজেই বরাদ্দ বেশি দেওয়ার সুযোগ নেই। কাজের মান নিয়ে তিনি বলেন, প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে কম করার সুযোগ নেই। তারপরও আমরা বলেছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে। কোনপ্রকার সমস্যা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।