হালুয়াঘাটে চাচার রোষানলে পা হারিয়ে পঙ্গু ‘মিজান’
প্রকাশিতঃ ৮:২৪ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৬৬ বার
ওমর ফারুক সুমনঃ চাচার রোষানলের শিকার হয়ে এক বছর যাবত একই বিছানাই শুইয়ে মানবেতর দিন পার করছে মিজানুর রহমান নামে এক যুবক। বেঁচে থেকেও মৃত্যুর চেয়ে বিষাদ যন্ত্রনা নিয়ে পারতে করতে হচ্ছে সময়। সময় যেনো কিছুতেই কাটেনা! স্বপ্ন গুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে আপন চাচা আব্দুল মান্নান। সম্পদের মোহে দখলে নিয়েছেন ৪২ শতাংশ ভূমি। কাগজে পত্রে মালিক আব্দুল হান্নান থাকলেও দখলে রয়েছে আব্দুল মান্নান মাষ্টারের। সরেজমিনে ঘুরে এসে জানা যায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয়দের দাবী, এ ঘটনার নিস্পত্তি না হলে যে কোন সময় প্রাণঘাতী সংগর্ষে রুপ নিতে পারে। সুত্রে জানা যায়, মিজানের পিতা আব্দুল হান্নান পৈতৃক সুত্রে পিতার কাছ থেকে কাগজমূলে ৪২শতাংশ জমি পেয়েছেন। কিন্তু সেই জমিতে স্থাপনা করেছেন আব্দুল মান্নান মাষ্টার। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে তাদের মাঝে বিরোধ। এক পর্যায়ে ঘটনাটি গড়ায় সংঘাতে।
প্রতিবাদ করতে গেলে হামলার শিকার হতে হয় মিজানকে। মান্নান মাষ্টারের নির্দেশে রাকিব ও মেহেদি দিনদুপুরে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেয় মিজানকে। সরেজমিনে পঙ্গু মিজান ও তার পরিবারের সাথে কথা বললে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার ক্যামেরার সামনে এইভাবেই অভিযোগ করে কথাগুলো ব্যক্ত করেন। ভুক্তভোগী মিজান ও তার পরিবারের লোকজন জানান, আঃ মান্নান মাষ্টার ক্ষমতার দাপটে এই অপকর্ম করেছেন। হান্নানের সাপ কাওলা বসতভিটা দখল করে নিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে তাদের মাঝে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। তার জের ধরে গত ২০২০ সালের জানুয়ারীর ২৯ তারিখে ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছেন মিজানকে। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী তারিখে আঃ হান্নান বাদী হয়ে আব্দুল মান্নান মাষ্টার, তার পুত্র রাকিব, মেহেদি হাসানসহ পাঁচজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত রাকিবের ভাই মামলার ২য় আসামী ইমাম মেহেদি হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দখলকৃত ভিটা নিজের। তারা জন্মের পর থেকেই উক্ত ভিটায় বসবাস করে আসতেছেন। এ বিষয়ে মান্নান মাষ্টারের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি সামনে আসেননি। তবে তার অপর পুত্র রাকিব বলেন, বসট ভিটা তাদের দখলে পূর্ব থেকেই রয়েছে। এর পরিবর্তে মিজান ও তার পরিবারকে অন্যত্র সম মূল্যের জায়গা দিয়েছেন। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বসত ভিটার পরিবর্তে জায়গা দিয়ে পরবর্তীতে আবার ফিরিয়ে নিয়েছেন মান্নান মাষ্টার। রেজিষ্ট্রি করে দেননি। এদিকে উক্ত বসত ভিটার দাবীতে আদালতে উচ্ছেদ মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা যায়। অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান মাষ্টারের বাড়ী হালুয়াঘাট উপজেলার ১০নং ধুরাইল ইউনিয়নের ধরাবন্নী গ্রামে।