আজ শনিবার , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

ভারতীয় কয়লা আমদানী বন্ধ হওয়ায় লোকসানের মুখে হালুয়াঘাটের ব্যবসায়ীরা! বঞ্চিত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে

প্রকাশিতঃ ৭:০৮ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১,২৭৩ বার

ওমর ফারুক সুমন:ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হওয়ার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন হালুয়াঘাটের আমাদানিকারকরা। সেই সাথে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব থেকে। জানা যায়, প্রায় একশ কোটি টাকার লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হালুয়াঘাটের কয়েক শত আমদানীকারক।
এছাড়া কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক শ্রমিক। প্রায় সাত মাস কয়লা আমদানি বন্ধ থাকার পর গত ডিসেম্বরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের দুটি সীমান্ত দিয়ে ফের আমদানি শুরু হয়। যা গত ১৫ জানুয়ারী ভারতীয় আদালতের রায়ে পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। হালুয়াঘাট সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশান এর কাস্টমস ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাসুদ করিম শান্ত জানান; মেঘালয়ের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশগত ক্ষতির দিক বিবেচনা করে ২০১৪ সালে কয়লা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। এরপর সেদেশের রফতানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়েক দফায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শুধুমাত্র উত্তোলিত কয়লা রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে আদালত। এতে কয়লা আমদানির সুযোগ পেতেন হালুয়াঘাটের ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যায় কয়লা আমদানি। পরে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ভারতীয় আদালত মেঘালয়ের বিভিন্ন খনিতে উত্তোলনকৃত কয়লা চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রফতানির অনুমতি প্রদান করে। এরপর বাংলাদেশের আমদানিকারকরা এলসি করে ৩ জানুয়াসী থেকে আমদানি শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন ভারতের উচ্চ আদালত। এদিকে কয়লা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। হালুয়াঘাট সীমান্তের দুটি স্থল বন্দরে কয়লা পরিবহন এবং লোড-আনলোডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক শ্রমিক। হঠাৎ করে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন তারা। হালুয়াঘাট সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশান এর সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, আমদানি বন্ধ হওয়ায় শুধু দু’দেশের ব্যবসায়ী আর শ্রমিকরাই নয়, বাংলাদেশ সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কড়াইতলি কোল এন্ড কোক ইম্পোটার্স এসোসিয়েশানের সভাপতি আলহাজ্ব এম সুরুজ মিয়া জানান, মেঘালয়ের বিভিন্ন খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিবহনের অনুমতি ছিল। কিন্তু গত ১৫ জানুয়ারি ভারতের উচ্চ আদালতের নির্দেশে রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় প্রায় ৮০০ আমদানিকারকের শত শত কোটি টাকার এলসি আটকা পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে এখন কয়লা দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের আদালতে এই নিষেধাজ্ঞার উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানি শেষে কয়লা আমদানির অনুমতি পাওয়া গেলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে দাবী করেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব আশরাফুল আলম জানান, স্থলবন্দর দিয়ে ১৫ জানুয়ারি থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট কর্ত্পক্ষ তাদের কোর্টের অনুমতি পেলে রফতানী কার্যক্রম পুনরায় চালু করবেন বলে আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।###

Shares