হালুয়াঘাটের শিশু ধর্ষণ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় ‘গেসু’ ও ‘গনি’
প্রকাশিতঃ ৮:২৪ অপরাহ্ণ | জুন ০৮, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৬৭ বার
ওমর ফারুক সুমন: মাত্র ১ টাকা দামের একটি বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বৎসরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় কয়রাহাটি গ্রামের গিয়াস উদ্দিন (৫২) ও আব্দুল গনি (৪৫) এরা দুইজন লিপ্ত ছিলো বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলশ্রুতিতে ধর্ষনের ঘটনা ঘটার দুইদিন পরে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করতে আসেন ধর্ষণের শিকার ঐ শিশুর পরিবার। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ৩ জুন রবিবার সন্ধায় ঘটনা ঘটে। মামলা হয় ৫ জুন রাতে। এ দু‘দিন ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে ধর্ষণকারী পরিবারের পক্ষ নিয়ে আপোষের চেষ্টা চালায় এই দুই মূল হোতা। স্থানীয়রা জানান, এরা এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত মঞ্জুরুলকে বাঁচানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার জন্যেও অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। ধর্ষক মঞ্জুরুলের বাড়ি হালুয়াঘাট উপজেলার ৯ নং ধারা ইউনিয়নে। সে আব্দুল হেকিমের পুত্র। শিশুটি গত রবিবার ধারাকলেজ মাঠে ইফতার পার্টি থেকে ইফতার খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে পিঁছু অবুঝ শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে বিস্কুট খাওয়াবে বলে নদীর পাড়ে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানেই ধর্ষণ করে বখাটে মঞ্জুরুল। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বলেন, মঞ্জুরুলকে আটকের চেষ্টা চলছে। সে পলাতক থাকায় এখনো আটক হয়নি। তবে আটক করা হবে সে যেখানেই থাকুক। এমনটিই জানালেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।