আজ শনিবার , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

শেষ মুহূর্তে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়া

প্রকাশিতঃ ৮:৪৮ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৯, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৪২ বার

নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। রমযানের ঈদে কেনাকাটা ও মিষ্টি সেমাই নিয়ে যেমন তোড়জোড় থাকে তেমনি পশু কুরবানির এ ঈদে থাকে পশু কেনাকাটা ও দা-ছুরি কেনাকাটার ঝোঁক। তাই বাড়তি দা-ছুরির চাহিদা মেটাতে ব্যস্ততা বেড়েছে রাজধানীর কামারপাড়াগুলোতে।

রাজধানীর বেশ কিছু কামারপাড়া ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। সারাক্ষণ টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারপাড়া। যেন দম ফেলার সময় নেই কামারদের।

রোববার বিকালে নগরীর তোপখানা, কালিঘাট, কাজিরবাজার, আম্বরখানা, মহাজনপট্টি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। ব্যস্ততা বাড়লেও ক্রেতার সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন তোপখানা এলাকার ২০ দোকানী। অনেকেই আবার আশা করছেন শেষ মুহূর্তে কোরবানি ঈদের আনুষাঙ্গিক দা, ছুরি, চাপাতি, বটি বাজার জমে উঠবে ।

দা-ছুরি বিক্রেতাদের একজন জানায়, প্রতি পিস চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, চামড়া খোলার ছুড়ি ৩০ থেকে ১৫০ টাকা, জবাই করার ছুরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাইনিজ কুড়াল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ছুরি ধার করার স্টিল প্রতি ৩০ টাকা, দা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, বটি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

তোপখানা এলাকার ব্যবসায়ী রাজেস কর্মকার জানান, সারাবছর তেমন কাজ-কর্ম না থাকলেও কোরবানির ঈদ আসলেই জেগে উঠে কামারপাড়া। দা-ছুরির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কামারদের কাজ করতে হয় দিন-রাত। তবে এবার বাজারে ক্রেতার দেখা মিলছে না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর এমন সময়ে বেচা-কেনা বেশ ভাল হলেও এবার হতাশ বিক্রেতারা।

আব্দুর রহিম নামের এক ক্রেতা একটি চাপাতি ও জবাই করার ছুরি কিনেছেন। তিনি বলেন, ঈদের বাকি আরও কয়েকদিন। কিন্তু পরে যেন বাড়তি ঝামেলা পোহাতে না হয় তাই কিনে ফেললাম।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে ছুরি ও চাপাতি মূলত মৌসুমি কসাইরাই বেশি কিনে থাকেন। অনেকে শখের বশে কেনেন। কারণ রাজধানীর কুরবানির পশুর কাটাকাটি মূলত কসাইরাই করে থাকে। তবে যিনি কুরবানি দেন তিনিও তাদের সহায়তা করেন।

সুমিত দে নামে এক বিক্রেতা জানান, কুরবানি ঈদ এলেই ব্যস্ততা একটু বেশি থাকে। তবে এখনও ঈদের বাকি আরও কয়েকদিন তাই ক্রেতার চাপ কম। সবাই গরু কেনাকাটায় ব্যস্ত। তবে আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে নিচ্ছি। আশা করি কাল-পড়শু থেকে বেচাকেনা বাড়বে। ইস্পাত ও কয়লার মূল্যবৃদ্ধির কারণে এমনিতেই ধুঁকছে কামারশিল্প। অনেকে পেশা বদল করছেন। ঈদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে অনেক জিনিসপত্র তৈরি করা হলেও বাজারে ক্রেতা নেই। তাই লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

এদিকে শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাট জুড়ে ঈদ আমেজ। নানা রঙে সাজানো হয়েছে হাটের ব্যানার ও গেট। ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন হাটের ইজারাদাররা।

রাজধানীতে এ বছর মোট ২৩টি পশুর হাট বসেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩টি হাট বসেছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়ও নিজ উদ্যোগে অনেককে গরু বিক্রি করতে দেখা যায়।

Shares