আজ শুক্রবার , ১৫ই মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা হালুয়াঘাট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে হাঁস-মুরগি বিতরণ ইশ্বরগঞ্জে বালু শ্রমিক আজিজুল হত্যার আসামী মাখন আটক শিক্ষার্থীদের বেতন অর্ধেক করে দিতে হবে-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে তেলের দোকানে অগ্নিকান্ড ম্যানেজিং কমিটির, সভাপতির পক্ষ থেকে জিপিএ-৫ পেলেই মিলবে ল্যাপটপ! হালুয়াঘাটে যুগান্তর স্বজন সমাবেশে কেক কাটলেন এমপি ‘সায়েম’ শিক্ষার্থীদেরকে নীতিকথা শোনাতে হবে- ইউএনও নালিতাবাড়ী নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আসছেন ‘হাজী মোশারফ’ নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ‘হাজী মোশারফ ‘ নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হতে চান “হাজী মোশারফ” নালিতাবাড়ীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

হালুয়াঘাটে নির্মাণের বছরেই বক্স কালভার্ট ধ্বস!

প্রকাশিতঃ ৭:২৬ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২২, ২০২১ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৬৩৮ বার

ওমর ফারুক সুমনঃ নির্মাণের বছরেই ধ্বসে পড়েছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে চার লক্ষাধিক টাকার বক্স কালভার্ট। এতে দুর্ভোগে পড়েছে উত্তর সুদর্শনখিলা, বাউসী গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ভুক্তভোগীরা বলছে, অনিয়ম আর দূর্ণীতির মাধ্যমে নিন্ম মানের কাজ করাই এ ধ্বসের মূল কারন। বক্স কালভার্ট পরিদর্শন শেষে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় এ তথ্য। সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২নং স্বদেশী ইউনিয়নে বাউসী বিলের খালের উপর এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থায়নে চার লক্ষ পচিশ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় বক্স কালভার্ট। বাস্তবায়নকাল ছিলো ২০২০-২১ অর্থ বছর। স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদ হোসেনের ঠিকাদারিত্বে বাউসী খালের উপর নির্মিত হয় এই বক্স কালভার্টটি। স্থানীয়রা বলছে, রড ছাড়াই শুধুমাত্র নিন্ম মানের ইট, সিমেন্ট আর বালু দিয়েই কোনমতে নির্মাণ কাজ শেষ করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে যায় ঠিকাদার এমদাদ হোসেন। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই বক্সকালভার্টটি ধ্বসে যায়। ফলে গত চার মাস যাবত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বাউসী গ্রামের আব্দুল জব্বার (৪৫), আঃ হক (৩৫), নাসির (৩২), আবুল হোসেন (৫৫) বলেন, বছর খানেক আগে ইউপি সদস্য এমদাদ হোসেন এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় চার লক্ষ ২৫ হাজার টাকার খরচ দেখিয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করে দেয়। তাদের মতে বরাদ্ধের অর্ধেক টাকাও ব্যয় করেনি। অত্যন্ত নিন্ম মানের কাজ করায় নির্মাণের বছরেই এই বক্সকালভার্টটি ভেঙ্গে পড়েছে বলে মন্তব্য তাদের। উত্তর সুদর্শখিলা গ্রামের আব্দুল মন্নাফ (৩৮), সুদর্শনখিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহাবুল (৩৫) বলেন, বক্স কালভার্টটি দিয়ে কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। কয়েকমাস যাবত তা ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ করতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। এছাড়া দূর্ঘটনাও ঘটছে মাঝে মাঝে। জরুরী ভিত্তিতে তা সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তারা। নির্মাণের বছরেই খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ার কারন হিসেবে অনিয়ম আর দূর্ণীতিকেই দায়ী করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য এমদাদ হোসেন বলেন, বন্যার কারনে পানির অতিরিক্ত স্রোতে কালভার্টের নিচের মাটি সরে গিয়ে তা ধ্বসে গেছে। তা সংস্কার করা হবে বলে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিহাদ হোসেন সিদ্দিকী ইরাদের সাথে কথা বলতে চাইলে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফোন রিসিভ করেননি।

Shares