হেলিকপ্টারে চড়ে বউ আসলো নয়া শশুরবাড়িতে। তা দেখতে গ্রামবাসীর ভিড়
প্রকাশিতঃ ১০:২০ অপরাহ্ণ | জুন ২২, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫৮৭ বার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার সৈয়দগাঁও গ্রামের ছেলে মোস্তফা হাসান উজ্জ্বল। শিক্ষা শেষে দেখাশোনা করছেন বাবার ইটখলার ব্যবসা। পাশাপাশি নিজেরও পাকুন্দিয়া পৌরসদরে নিজস্ব জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার বাবা হাজি শাফি উদ্দিন মেম্বার। পুরনো ব্যবসায়ী। পরিশ্রম করে তিল তিল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করেছেন। নিজের পড়াশোনা না থাকা স্বত্ত্বেও ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। চার ছেলের মধ্যে তৃতীয় ছেলে মোস্তফা হাসান উজ্জ্বলকে বিয়ে করিয়েছেন।
পাত্রী ফারজানা আক্তার তৃপ্তি। কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আবদুল আজিজের একমাত্র মেয়ে তিনি। পাত্রীর পিতার ইচ্ছে তার মেয়েকে হেলিকপ্টারে করে বরের বাড়িতে নিতে হবে। এমন আবদারে না করলেন না বর ও তার পিতা।
অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার মেঘনা এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টারে করে বউ আনার উদ্দেশ্যে নিয়ামতপুরে যান বর। স্থলেপথে যায় বিশাল মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের বহর। নিয়ামতপুর গ্রামে হেলিকপ্টার অবতরণ করলে লোকজনের ভিড় জমে যায়। হেলিকপ্টারে বর এসেছে জানতে পেরে আশপাশের গ্রামের শত শত লোক এক নজর দেখার জন্য। যা নিয়ামতপুর গ্রামের জন্য একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে বলেও জানা গেছে।
হেলিকপ্টার থেকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা দিয়ে স্পিডবোটে কনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বরকে।
পরে বিকাল পাঁচটার দিকে বউ নিয়ে বাড়ি ফেরেন উজ্জ্বল। এখানেও ভিড় করে উৎসুক লোকজন। লোকজনের মুখে মুখে উজ্জ্বলের হেলিকপ্টারে করে বউ আনার খবর শোনা যাচ্ছে।
শুক্রবার বরের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন এবং নবদম্পত্তির জন্য শুভ কামনা করেন।
যদিও এর আগে প্রথমবার পাকুন্দিয়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর মেয়ের বিয়েতে হেলিকপ্টারে করে বর এসেছিলেন। যা ব্যাপক আলোচিতও হয়েছিল। এরপরে আরও একজন বিয়েতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছিল বলে জানা গেছে। ক্রমেই মানুষ শখের বশে বিয়ের অনুষ্ঠানে হেলিকপ্টারের ব্যবহার বাড়াচ্ছেন।