আজ বৃহস্পতিবার , ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

জাতীয় ভাবে”স্বপ্নজয়ী মা” নির্বাচিত হলেন জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের অবিরণ নেছা ৬১০৮ ভোটের ব্যবধানে হামিদ বিজয়ী। শেখ রাসেল ও মনোয়ারা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রবীণে প্রবীণে লড়াই এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স

নালিতাবাড়ীতে কলসপাড় নঈমী দাখিল মাদরাসায় অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্য

প্রকাশিতঃ ৮:৪৭ অপরাহ্ণ | জুন ০৮, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৫০ বার

দৌলত হোসাইন, নালিতাবাড়ীঃ গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মনোনীত প্রার্থীদের আবেদন করিয়ে স্বজনপ্রীতি এবং ঘুষের বাণিজ্য করে বৃষ্টির মধ্যে খুব সকালে মাত্র আধঘণ্টায় ৪টি পদে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় নঈমী দাখিল মাদরাসায় নিয়োগ বিধিমালা না মেনে অবৈধভাবে এমন নিয়োগ প্রক্রিয়া করেছেন সুপারিনটেন্ডেন্ট আব্দুস সামাদ ও সভাপতি গোলাপ হোসেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দৈনিক ভোরের ডাক এবং দৈনিক তথ্যধারায় সহকারী সুপার, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে প্রার্থী চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গোপন রাখা হয়। গোপনে যোগসাজশ করে বোর্ড থেকে মহাপরিচালক এর (ডিজি) প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হয় বাদশা মিয়া নামে এক সহযোগি অধ্যাপককে। পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবীরকে নিয়ে গত ৪ জুন শনিবার সকাল আটটার দিকে বৃষ্টির মধ্যে অতিগোপনে প্রক্সি প্রার্থীদের নিয়ে মাদরাসায় হাজির হন সুপারিনটেন্ডেন্ট আব্দুস সামাদ ও বিতর্কিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাপ হোসেন। এরপর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে মাদরাসায় ভির করেন এবং গোপনীয়তায় নিয়োগের প্রতিবাদ করেন। এসময় বাকবিতন্ডার জেরে এলাকাবাসীর সাথে সুপারের হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। পরে পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে বিতর্কিত নিয়োগের অভিযোগ শোনে পুলিশ ফিরে আসে। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সবমিলিয়ে মাত্র প্রায় আধঘন্টা সময়ের মধ্যে কাগজপত্র নিয়ে চলে যান নিয়োগ কমিটি সংশ্লিষ্টরা।
দুপুরের দিকে জানা যায়, সহকারী সুপার পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে সুপার আব্দুস সামাদের মেয়ের জামাতা মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, আয়া পদে ৪ প্রার্থীর মধ্যে সভাপতির ফুফু জেসমিন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ৪ প্রার্থীর মধ্যে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে রায়হান মিয়া এবং নিরাপত্তা কর্মী পদে ৪ প্রার্থীর মধ্যে শাহাদত হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মোট ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০ নাম্বারের লিখিত এবং ২০ নাম্বারের মৌখিত পরীক্ষা, কাগজপত্র যাচাই-বাছাইসহ কিভাবে মাত্র আধঘণ্টায় ৪টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলো- এমন প্রশ্ন সকলের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহকারী সুপার পদে সুপারের মেয়ের জামাতা ও রাজনগর রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আশরাফুল ইসলামের অভিজ্ঞতায় ঘাটতি রয়েছে। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক হিসেবে দশ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার কথা থাকলেও তা পূর্ণ হয়নি। অন্যদিকে অন্যান্য পদে অন্তত ৮-৯ লাখ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছে।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলাউদ্দিন এর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিককে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে নিয়োগের জন্য ৫ লাখ টাকায় চুক্তি করা হয়। এরমধ্যে সভাপতি গোলাপ হোসেন ৫০ হাজার এবং সুপার আব্দুস সামাদ দেড় লাখ টাকা অগ্রীম গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অধিক টাকায় প্রার্থী পাওয়ায় আবু বক্করের পরিবর্তে শাহাদত হোসেনকে মনোনীত করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তারসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, মাদরাসায় নিয়োগ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতাম না। সকালে বৃষ্টির মধ্যে হৈচৈ শোনে এসে দেখি নিয়োগ পরীক্ষা চলছে। তারা আরও বলেন, সকাল আটটার দিকে এসে মাত্র আধঘণ্টার মধ্যেই আবার সব গুছিয়ে চলে গেছে। এখন শুনি নিয়োগ হয়ে গেছে। এদিকে কিছুদিন আগে হাইকোর্টের কাগজপত্র জালিয়াতি করে গোপনে গোলাপ হোসেনকে সভাপতি করার অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি হয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সুপার আব্দুস সামাদ আর্থিক লেনদেন এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সঠিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। সভাপতি গোলাপ হোসেন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে করা হয়েছে বলে দাবী করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবীর অনিয়ম হয়নি দাবী করে বলেন, কাগজপত্র তৈরিসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে করে ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগ করে আমাকে বলায় আমি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেই।

Shares