হালুয়াঘাটে পালিয়ে বিয়ে করায় জামাইকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিলেন শশুর
প্রকাশিতঃ ৬:৩৫ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৭, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৬৬০ বার

স্টাফ রিপোর্টারঃ হালুয়াঘাট উপজেলার নিজ ধারা গ্রামের পালিয়ে বিয়ে করার নয় মাস পর জামাইকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিলেন শশুর আবুল হাশেমগং। জামাই রতন মিয়া (৩২) নেত্রকোনা উপজেলার মদন থানার সাটুরিয়া গ্রামের মিরাজ আলীর পুত্র। শনিবার সন্ধার পর ৯নং ধারা ইউনিয়নের (ধারাবাজারের পূর্বে) নিজধারা গ্রামের আবুল হাশেমের নিজ বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে।পরে আশপাশের উৎসুক জনতা এসে ভিড় জমাই আবুল হাশেমের বাড়িতে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামাই রতন মিয়াকে মারধর করে হাত পা থেতলানো অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। আহত রতনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, প্রায় নয় মাস পূর্বে মোবাইলের সম্পর্কের জের ধরে আবুল হাশেমের মেয়ে অজুফা (১৮) কে বাড়ি থেকে পালিয়ে বের করে নিয়ে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দেনমোহর দিয়ে রেজিস্ট্রি মুলে বিয়ে করেন। বিয়ে করার পর গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকার তাজ উদ্দিন গনী মৃর্দাবাড়ি রোডের মান্নানের বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে একাধারে নয়মাস সংসার করেন। কিন্তু গত কদিন পূর্বে মায়ের অসুখের কথা বলে তার স্ত্রী বাড়িতে চলে আসেন। অতঃপর স্ত্রীকে খোঁজতে এসে নিজের জীবন হারাতে বসেছিলেন প্রায়। পরে আশ পাশের লোকজন তাকে রক্ষা করে। রতনের পূর্বের স্ত্রী সন্তানও রয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে অজুফার পিতা আবুল হাশেম বলেন, মোবাইলে ফুঁসলিয়ে নয়মাস পূর্বে মেয়েকে বের করে নিয়ে যান। এতদিন পালিয়ে ছিলো তারা। তার মেয়ে বর্তমান নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান। পরে রতনকে পেয়ে তারা মারধর করেছেন। মেয়ে পালিয়ে বা হারিয়ে গিয়েছে এই মর্মে কোন মামলা বা থানায় জিডি করেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে বলেন, মেয়ে চলে যাবার পর আমি থানায় গিয়েছিলাম জিডি করতে। আমার অভিযোগ থানায় নেয়নি। হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম তালুকদারকে ঘটনাটি মুঠোফুনে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবো বলে জানান।###