বাঁচার আকুতি অগ্নিদগ্ধ ভিক্ষুক কন্যা রাব্বনির
প্রকাশিতঃ ৮:০২ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ০২, ২০২১ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৯৮ বার
তোফাজ্জেল হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ শিশুটির নাম মোসাঃ রাব্বনি বেগম। বয়স আট বছর। অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাঁর শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে যায়। সেই থেকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে রাব্বানি। অবস্থার অবনতি হলে আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এ.এস.এম সায়েম শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠান। অথচ কয়েকদিন আগেও ফুটফুটে এই শিশুটি ছিলো সদা হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। এখন সে বেঁচে থাকার জন্য লড়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অর্থাভাবে নিভৃতে বসেছে তার জীবন প্রদীপ। তার চিকিৎসার করতে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে যা বহন করা অসম্ভব। তাই সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চান তার পরিবার।
রাব্বানির বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামে। বাবার নাম মোক্তার আলী মৃধা। চার বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর তিন কন্য সন্তান মৌসুমি ,রাব্বানি ও জামিলা কে নিয়ে সংসার চালাতে মা কুলসুম বেগমকে নিরুপায় হয়ে ভিক্ষার পথ বেছে নিতে হয়েছে। বিয়ে দেয়া হয়েছে বড় মেয়ে মৌসুমিকে । তাঁর স্বামীও প্রতিবন্ধী। মেঝ মেয়ে রাব্বনি অগ্নিদগ্ধ। ছোট মেয়ে জামিলার বয়স মাত্র ৫ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ শে ডিসেম্বর সকালে প্রতিদিনের মত ৫ বছরের কন্যা শিশু জামিলাকে নিয়ে ভিক্ষা করতে বেরিয়ে যান রাব্বানির মা কুলসুম বেগম। বড় বোন মৌসুমিও ঘরে ছিলেন না। এ সময়ে চাল ভাজতে গেলে হঠাৎ চুলার আগুন তাঁর শরীরে লেগে পুড়ে যায়। পরে ডাকচিৎকার শুনে বাড়ীর লোকজন উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
রাব্বানির মা মোসঃ কুলসুম বেগম জানান, রাব্বনির পিতা মোক্তার আলী খেয়ার নৌকা চালাতেন। অল্প আয়ে তাদের সংসার কোনো রকম চলে যাচ্ছিল। ৪ বছর আগে তিনিও মারা যান। এরপর ভিক্ষা করে সংসার চালানো ছাড়া তাঁর কোন উপায় ছিল না। হঠাৎ করে মেয়েটি অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় এখন কুলকিনারা পাচ্ছেন না তিনি। তাই রাব্বানিকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চান। সাহায্য পাঠাতে শশুটির অভিভাবক বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মোঃ আতিকুর রহমান(আরিফ) ০১৭৫৬৩১২০৫০(বিকাশ) এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।