আজ রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

গরীবের আশার বাতিঘর হাজী মোশারফ হালুয়াঘাটে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি পুঁততে গিয়ে মৃত্যু-১, আহত-১ জাতীয় ভাবে”স্বপ্নজয়ী মা” নির্বাচিত হলেন জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের অবিরণ নেছা ৬১০৮ ভোটের ব্যবধানে হামিদ বিজয়ী। শেখ রাসেল ও মনোয়ারা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রবীণে প্রবীণে লড়াই এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স

কচুরিপানা পরিষ্কার করতে বিলে নেমে পড়লেন ইউএনও নিজেই

প্রকাশিতঃ ৯:৪২ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১,০০৫ বার

অনলাইন ডেস্কঃ একসময়ের লাল-সাদা শাপলায় ভরপুর দৃষ্টিনন্দন বিলটি অবৈধ দখলদারদের দাপটে হারিয়ে ফেলেছিল সৌন্দর্য। স্থানে স্থানে বাঁশের বেড়া, কচুরিপানা দিয়ে বিলটি ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। তাই বিল পরিষ্কার ও দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য সপ্তাহজুড়ে নির্দেশ দিচ্ছিলেন তিনি। অথচ যেভাবে চাইছিলেন, কাজটি সেভাবে হচ্ছিল না। অগত্যা নিজেই নেমে পড়লেন বিলে। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা বিলের কাদাপানিতে নেমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মশিউর রহমান পরিষ্কার করলেন কচুরিপানা, উচ্ছেদ করলেন অবৈধ স্থাপনা।

ইউএনওকে বিলে নামতে দেখে বসে থাকতে পারেননি স্থানীয় জনসাধারণসহ রাজনৈতিক নেতারাও। তাঁরাও যোগ দেন পরিষ্কারের কাজে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক আশুড়ার বিলে এই অভিযান চালানো হয়। প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে বিলের কচুরিপানা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন জানান, ৩৬০ হেক্টর এলাকাজুড়ে আশুরা বিল। এখানে দেশীয় মাছ লাল খলশে, কাকিলাসহ আট প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

অভিযানে অংশ নেওয়া নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, একজন ইউএনও বিলের কাদাপানিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার করবেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন, তা ভাবনাতেও ছিল না। ইউএনও নিজে বিলে নামার পর তিনিও পানিতে নেমে কচুরিপানা পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বিলটি একসময় উত্তরাঞ্চলের ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান ছিল। দখলদারদের কারণে বিলটির ঐতিহ্য হারিয়েছে। এটি রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় লোকজনের ছিল। ইউএনও মশিউর রহমানের ব্যতিক্রমী অভিযান তাঁদের চোখ খুলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইউএনও মশিউর রহমান বলেন, জাতীয় উদ্যানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এ বিলটি দেশের অমূল্য সম্পদ। একসময় এ বিলজুড়ে ফুটে থাকত লাল-সাদা শাপলা। শীতে অতিথি পাখির কলরবে মুখরিত থাকত। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে একদল প্রভাবশালী মানুষ বিলটি দখলে নিয়েছিল। বিলটিকে বাঁশের বেড়া, মাচা দিয়ে অসংখ্য ভাগে ভাগ করেছিল। এতে কচুরিপানায় ভরে গিয়েছিল পুরো বিল। হারিয়ে গেছে শাপলা। শীতকালে ধান চাষ করায় ফসলে কীটনাশক ব্যবহারে হারিয়ে গেছে বহু দেশি প্রজাতির মাছ। বন্ধ হয়েছে অতিথি পাখি আসা।
ইউএনও বলেন, আজ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে লাগানো হচ্ছে শাপলা, পদ্ম। ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বিলটির হারানো ঐতিহ্য।

Shares