বাউফলে এসএসসি’র ফরম পূরণের নামে অর্থ বানিজ্য
প্রকাশিতঃ ৮:৫৬ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ১৩, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৬৭ বার
তোফাজ্জেল হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় অধিকাংশ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের নামে অর্থবাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ও অভিবাবকগণ। সরকারের নির্দেশনা উপক্ষো করে উপজেলার বিদ্যালয় গুলো এ ভাবে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র পিতামাতারা। ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে ধারদেনা করে তাঁদের পরিশোধ করতে হচ্ছে ধার্যকৃত ওই অর্থ।
সংশ্লিষ্টি সুত্রে জানাগেছে, চলতি বছরে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য মানবিক ও ব্যবসাশিক্ষা বিভাগে ব্যবহারিক পরীক্ষা ও কেন্দ্র ফি সহ সর্বচ্চ ১৬৩০, বিজ্ঞান বিভাগে ১৭২০ টাকা নিয়মিত ছাত্রের ক্ষেত্রে। অনিয়মিত ছাত্রদের জন্য আরও একশত টাকা করে বেশি নির্ধারন করা হয়েছে। এ ছাড়া উল্লেখিত ফি ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ছাত্র প্রতি ২৫টাকা গ্রহণ করা যাবে।
অথচ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের সেই নিয়মকে উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে সারে তিন হাজার ছয়শত করে টাকা আদায় করছেন। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বোর্ড ফি, কোচিং ফি, সেন্টার ফি নামে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত টাকা নিলেও কিছু কিছু বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার কোচিং করানো হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাউফল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর হতদরিদ্র অভিববাক বলেন, মেয়েকে বিদ্যালয়ের স্যারেরা ৩৬০০ টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করতে বলেছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এখন অভাব অনটনের দিন, এ সময় এত টাকা দিয়ে সন্তানের পরিক্ষার ফরম পূরন করা এ যেন মড়ার উপর খড়ার ঘাঁ। অভিযোগ রয়েছে, টাকা আদায়ের সময় রশিদ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কোন বিদ্যালয়ই রসিদ দিচ্ছে না। একই ভাবে অভিযোগ করেন কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আরও কয়েক অভিভাবক।
বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, সরকারের নির্ধারিত ফির চেয়ে যদি কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি নেয়, তার দায় ভার সমিতি নিবে না। তবে কোন ছাত্রের যদি বকেয়া থাকে তাহলে সে বকেয়া দিতে বাধ্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে বলেন, আমরা প্রতিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছি র্বোড নির্ধারিত ফি এর চেয়ে কোন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবেনা। যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় সে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।