গ্রুপ সেরা হয়েছেন বেলজিয়াম
প্রকাশিতঃ ৮:৫৩ অপরাহ্ণ | জুন ২৯, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪২৬ বার
ক্রীড়া ডেস্কঃ গ্রুপ সেরার প্রশ্নে গুরুত্ব ছিল ম্যাচটির। তবে এ নিয়ে দু’দলের যে মাথাব্যথা ছিল না তা বোঝা গেল একাদশ দেখে। গতরাতে রেকর্ড ১৭টি পরিবর্তন নিয়ে পরস্পরের মোকাবিলায় নামে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম। আন্তর্জাতিক বটেই, শীর্ষ কোনো ফুটবল লীগেও এমন নজির ছিল না। ম্যাচের দু’দলে ১৬ পরিবর্তন নিয়ে আগের রেকর্ডটি ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের। গতরাতে চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারায় আসরের ‘ডাক হর্স’ খ্যাত বেলজিয়াম।
কালিনিনগ্রাদ অ্যারেনায় ম্যাড়ম্যাড়ে প্রথমার্ধ শেষে ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ডি বক্সের মাথা থেকে দারুণ ড্রিবলিংয়ের পর জোরালো কোনাকুনি শটে গোল আদায় করেন আদনান ইয়ানুজাই। ৬৬তম মিনিটে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মার্কাস রাশফোর্ড। ডি বক্সে বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কুরতোয়াকে একা পেয়েও গোল আদায়ে ব্যর্থ হন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ তরুণ ফরোয়ার্ড। আর ম্যাচের শেষ দিকে আরো গোল পেতে পারতো বেলজিয়ানরা। ৮৭তম মিনিটে দ্রিস মার্টেনসের দূরপাল্লার শট রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। পরের তিন মিনিটে আরো দু’বার গোলের সুযোগ নষ্ট করে বেলজিয়ানরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের তিন ম্যাচে জয়ের নজির রয়েছে কেবল স্পেনে ১৯৮২’র আসরে। গতরাতে ‘জি’ গ্রুপের অপর ম্যাচে মরদোভিয়া অ্যারেনায় আগে গোল হজম করে শেষে পানামার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় দেখে তিউনিশিয়া। শেষ ষোলো রাউন্ডে আগামী ২রা জুলাই জাপানের মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম। পরদিন ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে দু’দলই ছিল নির্ভার। ‘জি’ গ্রুপে টানা দুই জয়ে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের শেষ ষোলো রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তিউনিশিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৫-২ গোলে জয় দেখে বেলজিয়াম। আর গতরাতে ৯টি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজান বেলজিয়ামের স্প্যানিয়ার্ড কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। নিজেদের শেষ ম্যাচে পানামাকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। আর একাদশে ৮টি পরিবর্তন নিয়ে গতরাতে খেলতে নামে ইংলিশরা।
এবারের বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচের ৯টিতে জয় ও এক ড্র দেখে বেলজিয়াম। ১০ ম্যাচে তারা পায় ৪৩ গোল। আর রাশিয়ায় মূল আসরে শুরুর দুই ম্যাচে জয় দেখা বেলজিয়াম পায় ৮ গোল। ‘জি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান ছিল সমান। ফেয়ার প্লে পয়েন্টের সুবাদে তালিকার শীর্ষে ছিল ইংল্যান্ডই। নিজেদের শুরুর দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড দুইটি ও বেলজিয়াম তিনটি হলুদ কার্ড দেখে। লাল কার্ডের শিকার হয়নি কেউই। দুই ম্যাচে সমান ৮ গোল দিয়ে ২ গোল হজম করে তারা।
বিশ্বকাপে এ নিয়ে তৃতীয়বার মুখোমুখি হলো ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। আগের দুই ম্যাচে অপরাজিত ছিল ইংল্যান্ড। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে দুইদলের মধ্যকার গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪-৪ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র দেখে দর্শকরা। আর ১৯৯০ আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে বেলজিয়ামকে (১-০) অতিরিক্ত সময়ের একমাত্র গোলে হারায় ইংল্যান্ড। আগে ২১ বারের দেখায় ১৫টিতেই জয় পায় ইংলিশরা। বেলজিয়ামের জয় ৪ ম্যাচে। বাকি দুই ম্যাচ সমতায় শেষ হয়। বিশ্বকাপের গত আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা বেলজিয়ামের সেরা সাফল্য ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।