সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
প্রকাশিতঃ ৫:৫২ অপরাহ্ণ | জুন ২৬, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৬১ বার
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ঢাকার ধামরাইয়ের রৌহা গ্রামে নিখোঁজের একদিন পর পূর্ণিমা আক্তার নামে সাত বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে রৌহা বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হেেচ্ছ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ধামরাইয়ের রৌহা গ্রামের সামসুল ইসলামের মেয়ে রৌহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা আক্তার গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে ডিম ও ডাল কেনার জন্য বাড়ির পাশের বাজারে যায়। দেলোয়ার হোসেনের মুদি দোকান থেকে ডিম ও ডাল কিনে সে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পরও না পেয়ে বিকেলেই মাইকিং করা হয়।
পরে আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দুরে একটি বাঁশঝাড়ের ভেতর স্থানীয় লোকজন শিশুটির লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ রক্তাক্ত ও গলা ফুলা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পূর্ণিমার বাবা সামসুল ইসলাম জানান, যেখানে লাশ পাওয়া গেছে গতকাল বিকেলেও সেখানে খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া তার কোন শত্রু নেই বলেও জানান তিনি।
হত্যার কারণ ও দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবি করছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি ধামরাইয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশের তৎপরতা কমে যাওয়াকেই দায়ী করছেন ধামরাইবাসী।