আজ মঙ্গলবার , ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

অসুস্থ পিতা-মাতার ভরসা চা বিক্রেতা বাক প্রতিবন্ধী ‘মনিষা’

প্রকাশিতঃ ৫:২৯ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ২১, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪২০ বার

ওমর ফারুক সুমনঃ বাক প্রতিবন্ধী মনিষা সাহা।ঠিকমতো কথা বলতে না পারলেও আঠারো বছর বয়সে বাবা-মায়ের একমাত্র ভরসা এই কিশোরী। সকাল সন্ধায় চা বিক্রি করে সংসারের খরচ জুগার করতে হচ্ছে তাকে। আবার চালাতে হচ্ছে পড়ালেখাও। মেধার কমতি নেই মনিষার। জয়রামকুড়া স্কুল এন্ড কলেজের এইচ.এস.সি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ।এদিকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলছেন পিতা মিলন সাহা। অসুস্থ্য পিতাকে সুস্থ্য করে তুলতে প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছেন মনিষা। রবিবার বিকেলে মনিষার চায়ের দোকানে গেলে দৈনিক মানবজমিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানা যায় এমন তথ্য। মনিষা জানান, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি।এক খন্ড জায়গা জমি নেই পরিবারটির। হালুয়াঘাট পোষ্ট অফিস রোডে অন্যের বাড়ীতে ভাড়া থেকে চা বিক্রি করে লেখাপড়ার পাশাপাশি অদম্য লড়াই করে চলেছেন আঠারো বছর বয়সী এই মেয়েটি। এদিকে বাবা মিলন সাহা গলায় টিউমারে আক্রান্ত।স্থানীয়দের সহযোগীতায় একবার অপারেশন করেও শেষ রক্ষা হয়নি। পরবর্তীতে আবারও দেখা দেয় স্বাস্থ্যের অবনতি। গলার টিউমারটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। এমতাবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য। কোনপ্রকার উপায়ান্তর না পেয়ে হতাশ হয়ে যান মনিষা। বারবার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা আয় তাকে।পিতাকে সুস্থ করে তুলতে তার অদম্য লড়াইয়ের গল্পটি আসলে খুবই হৃদয়বিদারক। চা বিক্রি করে কয়েকটি টাকা পেলেও তা দিয়ে চলেনা সরকার। বাসা ভাড়া, স্কুল খরচ, সংসার খরচ সব কিছুই যেনো নাগালের বাহিরে। এমন দুর্ভোগের মধ্যে নতুন করে সামনে আসে চিকিৎসা খরচ। অপারেশন করতে প্রয়োজন অনেক টাকা। তারপরেও নৈরাশ না হয়ে আশার বীজ বপন করে চলেছেন মনিষা।চা বিক্রি করে পরিবারটির জন্যে কিছুটা হলেও ভরসা জুগিয়ে যাচ্ছেন। একান্তে কথা বললে মনিষা বলেন, আমি সকলের সহযোগীতা চাই।বাবা মা ছাড়া এই দুনিয়াতে আর কেউ নেই আমার। আমার বাবাকে সুস্থ করতে চাই। হেল্প প্লিজ। জানা যায়, ১৯৭১ সালে সব কিছু হারিয়ে মিলন সাহার পিতা নব কিশোর সাহা স্বপরিবারে নেত্রকোনা থেকে পারি জমান ভারতীয় শরণার্থী শিবিরে। সেখান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সিরাজুল ইসলাম বেগ নিয়ে আসেন হালুয়াঘাটে।মিলন সাহা এবং তার মা টুকটাক কাজকর্ম করে সংসার চালালেও বর্তমানে বাবা এবং মা দুজনেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় সমস্ত চাপ এসে পড়ে একমাত্র কন্যা বাক প্রতিবন্ধী মনিষা সাহার উপর। এ অবস্থায় টাকার অভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মনিষার মাতা অপর্ণা সেও অসুস্থ। পিতা মাতা উভয়েই অসুস্থ থাকায় পুরো চাপ এসে পড়ছে বাক প্রতিবন্ধী মনিষার উপর।এ ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারাও জানান বাক প্রতিবন্ধী মনিষা সাহার চা বিক্রির পিছনে দুর্বিসহ জীবনের কথা। মনিষার অদম্য লড়াইয়ের স্বাক্ষী প্রতিবেশীসহ তার শিক্ষকরাও। মনিষার শিক্ষক আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী হয়েও এই বয়সে অদম্য লড়াই করতে হচ্ছে তাকে। বাবা মা অসুস্থ থাকায় কষ্ট করে যাচ্ছে মেয়েটি। সকলের সহযোগীতা পেলে হয়তো বাবার চিকিৎসা করাতে পারতো। বাবা মায়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে পড়ালেখার পাশাপাশি মনিষা সাহার এমন অদম্য পরিশ্রমের বর্ণনা দিয়েছেন জয়রামকুড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ-আব্দুল কাদির।তিনি বলেন, মনিষা সাহা অনেক মেধাবী। তার জন্যে কলেজের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহযোগীতা করা হয়। মনিষার কাছ থেকে কোন টাকা পয়সাও নেয়া হয়না।

Shares