তারাই নদীতে ব্রীজ হলে ঘুচবে ১০ গ্রামের মানুষের দুঃখ
প্রকাশিতঃ ৫:৫৮ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০১, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৮২ বার
এম এ মান্নান ঃ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ৮নং নড়াইল ইউনিয়নে তারাই নদীতে দুটি ব্রিজ হলে ঘুচবে ১০ গ্রামের মানুষের দুঃখ। গোপীনগর টু বটগাছিয়াকান্দা কাঁচা সড়কে আবু রায়হান ও আক্তার উদ্দিনের বাড়ির পাশে একটি ব্রিজ ও বটগাছিয়াকান্দা টু বাতাঘাটা নামক স্থানে আরেকটি ব্রিজ দরকার। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওই এলাকায় সরেজমিন গেলে নজরে পড়ে মানুষের দুর্ভোগের দৃশ্য। বর্তমানে একটি বাঁশের সাঁকুই তাদের একমাত্র ভরসা। খামারবাসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পার হয়ে থাকেব তারাই নদী। এদিক দিয়ে গোপীনগর, মিকিয়ারকান্দা, কালিয়ানীকান্দা, খামারবাসা, বাতাঘাটা, বটগাছিয়াকান্দা, কুমুরিয়া, বাঘমার ও নড়াইলসহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন। খামারবাসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র গোপীনগর গ্রামের ফরিদ আহমেদের ছেলে আজহারুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। একই গ্রামের ও একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী নায়েব আলীর কন্যা লিমা বলেন, এই সাঁকু দিয়ে তারাই নদী পারাপারের সময় আমাদের বেশ কয়েকজন ছাত্রী সাঁকু থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছে। আমরা এ নদীতে একটি ব্রিজের দাবি জানাচ্ছি। গোপীনগর গ্রামের রইস উদ্দিন বলেন, কত মানুষের কত উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমাদের ভাগ্যের কোন উন্নয়ন হয়নি। সোবান মেম্বারের বাড়ির সামনে গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে একটি ব্রিজ হলেও এমপি জুয়েল আরেং কর্তৃক উদ্বোধনের পর পরই উহা ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। আজও উহা মেরামত করা হয়নি। মেম্বারের পর মেম্বার চেয়ারম্যানের পর চেয়ারম্যান বদলালেও আমাদের ভাগ্য বদলায়নি। ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় এখানে একটি ব্রিজের দাবি জানিয়ে আসছি। এর আগে একবার ওয়ার্ল্ড ভিশনের লোকেরা এসে মাপ নিয়েছিল। কিন্তু আজও এখানে একটি ব্রিজ হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাফুজুর রহমান বলেন, আপনাদের ইউপি চেয়ারম্যানকে দিয়ে উনার প্যাডে একটা আবেদন পত্র জমা দিতে বলবেন। পরে দেখবো, কি করা যায়। পরে এ বিষয়ে ৮নং নড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন মানিকের সাথে কথা বললে তিনি একটি আবেদন জমা দিবেন বলে জানান।