আজ শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন অতিহ্যবাহী ঢেঁকির ঠঁক ঠঁক শব্দ

প্রকাশিতঃ ৫:২০ অপরাহ্ণ | জুন ২৫, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৭৩ বার

ওমর ফারুক সুমনঃ এমন এক সময় ছিল যখন ঢেঁকি ছিলো গ্রাম বাংলার প্রতিটি কৃষকের প্রচীন অতিহ্য। প্রতিটি ঘরে ছিলো ঢেঁকি। সে সময়টিতে  ধান থেকে চাল ভাঙ্গার কাজে ঢেঁকি ছাড়া অন্য  কোন বিকল্প ব্যাবস্থা ছিলোনা। ঢেঁকিই ছিলো ধান ভাঙ্গা, চাল ভাঙ্গা, ডাল ভাঙ্গানো, পিঠার গুড়া করার একমাত্র অবলম্বন। হালুয়াঘাট সহ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া, ফুলপুর, তারাকান্দা, গফর গাঁও, ত্রিশাল, ইশ্বরগঞ্জ, ফুলবাড়িয়া সহ বিভিন্ন উপজেলায় পরিচিত যন্ত্র ছিলো ঢেঁকি। কালের বিবর্তনে  চিরচেনা এই ঢেঁকি নামক যন্ত্রটি আজ  বিলুপ্তির পথে।  দুই দশক আগেও যে ঢেঁকি  চাল তৈরীর একমাত্র মাধ্যম ছিল সেই ঢেঁকি নামক চিরচেনা জিনিসটি  কালের বিবর্তনে আজ তেমন চোখে না পড়লেও কিছু কিছু গৃহস্থের ঘরে আজও ঐতিহ্য হিসেবে শোভা পাচ্ছে। ঢেঁকি কাঠ দিয়ে তৈরী। এটা তৈরীর পর পিছনে একটি ছিদ্র করে তার মধ্যে একটি শলাকা জাতীয় কাঠ ঢুকানো হয়। যার নাম ‘আগশালী’ বলে এবং সামনের দিক উপর নিচ করে ছিদ্র করে একটি কাঠ খন্ড ঢুকানো হয়  এর নাম ‘মোহনা’ বলে। দুটি কাঠ খন্ড মাটিতে পুতা হয় আগশালী রাখার জন্য যার নাম ‘পোয়া’ এবং মোহনা যে জায়গায় রাখা হয় সেখানে একটি চাকা আকৃতির কাঠ মাটির নিচে পুতে রাখা হয় যার নাম ‘গড়’ বলা হয়। এই গড় বেশীর ভাগই গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরী করা হয়। আর এই গড়ে ধান রেখে ঢেঁকির পিছনে পা দিয়ে চাপ দিলে ধান ভানা শুরু হয় । এই ঢেঁকি দিয়ে শুধু যে ধান ভানা হয় তা নয়, শীতকালে কুমড়া দিয়ে বড়ি তৈরী, গম দিয়ে আটা তৈরী, আলো চাউল দিয়ে গুড়া তৈরী ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়। একসময় ঢেঁকির ঠক ঠক শব্দে ঘুম ভাঙ্গত শিশুদের। কিন্তু আজ তা আর চোখেই পড়ে না। হাতে গোনা কিছু কৃষকের বাড়ীতে ঢেঁকি চোখে পড়লেও তার কোন ব্যবহার নেই। এমন এক সময় আসবে, গ্রাম বাংলার কৃষদের বাড়ীতে মোটেও আর ঢেঁকি দেখা যাবে না এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে এই ঢেঁকি শুধু কাল্পনিক জগতের এক বস্তু হয়ে থাকবে। হালুয়াঘাট উপজেলার আকনপাড়া গ্রামের বাবুল দেবনাথ বলেন, তাদের গ্রামের বাড়িতে একসময় ঢেঁকি ছিলো। এখন আর তার ব্যাবহার নেই বলে তিনি জানান। ২ নং জুগলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, দুই দশক পুর্বে প্রতিটি ঘরে ঘরে ঢেঁকি দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে পুরো এলাকা ঘুরলে দু’একটি পাওয়া যাইতে পারে। এখনো কেউ কেউ পিঠার গুড়া করার জন্যে সখ করে ঢেঁকি ব্যাবহার করে থাকে বলে তিনি জানান।

Shares