নকলায় আমির হোসেন বিশ্ব’র টাকা তৈরির ফাঁদ
প্রকাশিতঃ ১০:০২ অপরাহ্ণ | জুন ২৫, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৩৯ বার

স্টাফ রিপোর্টারঃ শেরপুরের নকলার চড়কিয়া গ্রামে টাকা তৈরির নামে অভিনব কায়দায় প্রতারিত করে যাচ্ছে আমির হোসেন বিশ্ব নামে এক প্রতারক। তার সাথে সহযোগীতায় রয়েছেন নকলার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মজিবর, একই গ্রামের আব্দুল ও আমির হোসেনের স্ত্রী। এর আড়ালেও আরও কতিপয় চক্র জড়িত রয়েছে এমনটাও জানান কেউ কেউ। তার এমন ফাঁদে নিঃস্ব হয়েছে বহু মানুষ। সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে গিয়ে মিলে আমির হোসেন বিশ্বর টাকা তৈরির অভিনব কৌশল। তার তৈরি নোট গুলো দেখতে হুবুহ আসল নোটের মত হওয়ায় জাল নোট পরিক্ষার মেশিনও ধরতে পারে না নোটটি আসল নাকি নকল। বিশ্বর এমন টাকা তৈরির দৃশ্য ফুটে উঠেছে গোপন ক্যামেরায়। প্রায় তের মিনিটের ধারন করা ভিডিওতে দেখা যায়, টাকা তৈরি করতে প্রথমে বেছে নেন মুদ্রার সাইজের সাদা কাগজ। এক হাজার টাকার নোটের সাইজের, সাদা কাগজ দিয়েই তৈরি হয় আরেকটি নোট। দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা আসল এবং কোনটা নকল। প্রথমে মুদ্রার সাইজের বেঁছে নেন চারটি সাদা কাগজের টুকরা। তার সাথে যোগ করেন আসল টাকার চারটি মুদ্রা। খয়েরি রঙ্গের তরল ঔষধ ঢেলে দিয়ে কাগজ আর টাকায় শুরু করেন ঘঁসাঘঁসি। টাকার সাথে কাগজের ঘর্ষণে ৪/৫ মিনিটের মধ্যেই সাদা কাগজটি পরিনত হয়ে যায় এক হাজার টাকার মুদ্রায়। পানিতে ধুইয়ে আয়রন দিয়ে শুকিয়ে নিমিষেই তৈরি হয়ে যায় পরিপূর্ণ টাকা। আমির হোসেনের টাকা তৈরির কৌশল অনেকটা যাদুর মতই। স্থানীয়দের কাছেও শোনা যায় বিভিন্ন অপরাধে বহুবার হাজত বাসের কাহিনী। স্থানীয়রা জানান, এক সময়ে অভাব আর অনটনে দিন মজুরের কাজ করতেন এই আমির হোসেন বিশ্ব। এখন জাল নোট তৈরি করে এলাকায় তিনি কোটিপতি হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারনার স্বীকার বেশ কয়েকজন জানান, আমির হোসেন বিশ্ব শুরুতে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে বেছে নেন ভিন্ন অপকৌশল। গ্রাহকের চোখের সামনে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা তৈরি করে প্রলোভিত করা হয়। কম টাকা তৈরি করে অজর্ন করেন বিশ্বস্ততা। এরপর গ্রাহক যখন মোটা অংকের টাকা নিয়ে হাজির হন, তখন প্রয়োগ করেন অভিনব কৌশল, হাতিয়ে নেন পুরো টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারনা করে গেলেও এখনো রয়ে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর আগে এ সকল অপকর্মের কারনে বেশ কয়েকবার র্যাজবের হাতে আটক হন, এমনটা জানান স্থানীয়রা।