হালুয়াঘাটে কেজি ধরে তরমুজ বিক্রি। ক্রেতাদের ক্ষোভ
প্রকাশিতঃ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ১২, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১৭৯ বার
ওমর ফারুক সুমন: গরমে স্বস্তির রসালো ফল তরমুজ নিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সৃষ্টি হয়েছে নৈরাজ্য। গরমকে পুঁজি করে মানুষকে এক ধরনের জিম্মি করেই চলছে কেজি ধরে তরমুজ বেচাকেনা। পিস হিসাবে তরমুজ ক্রয়-বিক্রয় হলেও পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় বিক্রি করছে কেজি ধরে। বিশেষ করে এখন চলছে রোজার মাস, সেই সঙ্গে চৈত্রের কাঠফাটা গরম। আর গরমে রোজার দিনে পানি ও পানিজাতীয় ফল তরমুজের প্রতি রয়েছে মানুষের আলাদা আগ্রহ। আর এই সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু মাহাজনরা লুটে নিচ্ছে অতিরিক্ত মুনাফা। হালুয়াঘাটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এমন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। একটি তরমুজের ওজন ৫ কেজি থেকে ১২ কেজি। সেই হিসেবে এক পিচ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে তিনশত থেকে পাঁচশত টাকায়। এদিকে কেজি ধরে তরমুজ বিক্রি করায় ক্রেতাদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে প্রচন্ড ক্ষোভ। তরমুজ ক্রয় করতে আসা সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ক্রেতা বলেন, অনেকটা জিম্মি করেই ব্যবসায়ীরা কেজি ধরে তরমুজ বিক্রি করে যাচ্ছে। কেজিতে তরমুজ ক্রয় করতে গেলে দাম বেশি দিতে হয় ব্যবসায়ীদের। আলম (৩৮) নামে অপর আরেক ক্রেতা বলেন, সারাজীবন পিচ হিসেবে তরমুজ কিনে আসলাম, আর এখন কেজি ধরে তরমুজ কিনতে হয়। এ নিয়ে প্রচন্ড ক্ষোভ ক্রেতাদের। তরমুজ ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞেস করলে তাদের দাবী, ক্রেতারাই কেজি ধরে তরমুজ ক্রয় করতে চান। উল্টো ক্রেতাদের উপরই দোষ চাপিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। হালুয়াঘাট পৌর মেয়র খাইরুল আলম ভুঁঞা খুররম বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি কেজি ধরে তরমুজ বিক্রি করে থাকে তাহলে কঠোর হস্তে তা বন্ধ করা হবে।