নালিতাবাড়ীতে নির্যাতনে শিকার শিক্ষিকার সংবাদ সন্মেলন
প্রকাশিতঃ ৪:৪২ অপরাহ্ণ | মার্চ ০৯, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১৮১ বার
দৌলত হোসাইন, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) : সন্তানের ওয়ারিশ দাবী করায় সৎ সন্তানের হাতে শাররীকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে মঙ্গলবার ৮মার্চ দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী নির্যাতিতা শিক্ষিকা হাসনা হেনা (৪২)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষিকা হাসনা হেনা বলেন, আমার স্বামী নজরুল ইসলাম গত ২০২১ সনের ১৯ জানুয়ারী মৃত্যু বরন করেন। আমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমাদের দুই সংসারের মোট ৫জন পুত্র সন্তান ও ২জন কন্যা সন্তান আছে। আমার সংসারে তার ওরশজাত ১জন নাবালক পুত্র সন্তান আছে যার নাম হাবিব তন্ময় (১২)। আমার স্বামীর প্রথম পক্ষের ৪ পুত্র সন্তান রিপন (২৫) সুমন (২৩) শাহিন (২১) রিফাত (১৮)। স্বামীর রেখে যাওয়া স্থাবর-অস্থাবর সকল অর্থ সম্পদ প্রথম পক্ষের ছেলেরা ভোগ দখল করে আসছে। আমার স্বামী মৃত্যু বরন করার ১বছর ২মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও আজ অবদি স্বামীর রেখে যাওয়া কোন অর্থ ও সম্পদ বুঝে পাইনি। আমার পুত্র সন্তান দুরারোগ্য একটি ব্যাধীতে আক্রান্ত। (তার রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি হতে সমস্যা আছে)। তাই সন্তানের ব্যয় বহুল চিকিৎসার জন্য প্রচুর পরিমান অর্থ সংকুলান করা আমারমত একজন শিক্ষিকার পক্ষে কষ্টসাধ্য। আমার সন্তান হাবিব তন্ময় ১২ বছরের নাবালক শিশু হওয়া সত্বেও তারা বৈমাত্রীয় তিন ভাই মিলে তার কাছ থেকে গত ০৩ মার্চ ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। বিষয়টি আমার সন্তান আমাকে বাড়ীতে এসে জানালে আমি পর দিন ৪ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিটের সময় উত্তর বাজারস্থ আমার স্বামীর চালের দোকানে যাই এবং আমার সৎ ছেলেদের কে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করি। কোথায় এবং কেন নাবালক ছেলের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে ? এই প্রশ্ন করার পরে তারা তিন ভাই এই বিষয়টি অস্বীকার করে এবং তারা চরমভাবে উত্তেজিত শতশত মানুষের সামনে চড়াও হয় এবং প্রকাশ্য জনগনের সামনে তিন সৎ পুত্র মিলে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় পথচারিরা আমাকে প্রানে বাচাঁয়। আমি পেশায় একজন শিক্ষক। সন্তান ও নিজের অধিকার চাইতে গিয়ে জনসন্মুখে সৎ ছেলেদের হাতে আমাকে শারীরীক ভাবে নির্যাতিত হতে হয়েছে। আমি আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদের আমার ও আমার ছেলের অংশ বুঝেপেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাচঁগাঁও দাখিল মাদসার সুপার মাওঃ মোঃ জাহেদ উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ।