বাউফলে বসতঘর তুলতে প্রতিপক্ষের বাঁধা, ভোগান্তিতে এক পরিবার
প্রকাশিতঃ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৬৪ বার
বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে গ্রাম্য শালিসী রোয়েদাদ নামা মেনে বসতঘর ভেঙ্গে পরে আবার নতুন ভাবে বসতঘর তুলতে না পাড়ায় প্রায় এক বছর পর্যন্ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এক পরিবার। পূর্বের নির্মিত টিনসেট বসতঘর ভেঙ্গে নতুন করে পাকা দালান ঘর নির্মাণ করতে গেলে গ্রাম্য শালিসী রোয়েদাদ নামা উপেক্ষা করে বাধা দেয় প্রতিপক্ষ। ফলে প্রতিবেশি এক স্বজনের বাসায় দীর্ঘ মাস ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে ভুক্তোভোগী পরিবারের। উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ঝিলনা গ্রামে ঘটে এ ঘটনা।
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন পাকা দালান নির্মাণের জন্য পূর্বের টিনসেড ঘর ভেঙ্গে ফেলায় ঝিলনা গ্রামের ইসমাইল ফকিরের পুরাতন বসত ভিটা খালি পড়ে আছে। শালিসী বৈঠকে পাওয়া জায়গায় পাকা দালান নির্মানে প্রতিপক্ষ একই বাড়ীর গোলাম মস্তোফা ফকিরের ছেলে রমজান ও রিয়াজ নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ায় কাজে আসছেন না নির্মাণ শ্রমিকরা। ফলে এক বছর পর্যন্ত অযতেœ থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার নির্মান সামগ্রী ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের ঝিলনা গ্রামের ইসমাইল ফকির ও মস্তোফা ফকিরের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ মিমাংসা করার জন্য প্রায় এক বছর অগে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারসহ সাতজন সদস্য নিয়ে একটি শালিসনামা গঠন করা হয়। মানীত ওই শালিসগন গত বছরের ২৭ মে উভয় পক্ষের সম্মতিতে একটি রোয়েদাদ নামায় স্বাক্ষর করে আপোষ বন্টন করে দেন। উভয় পক্ষ তা মেনেও নেয়। এরপর ইসমাইল ফকির ওই রোয়দাদ নামা মেনে বাড়ির ভিতরের পুরাতন বসতঘর ভেঙ্গে আপোষ বন্টনের মাধ্যমে পাওয়া বাড়ির দরজার জায়গায় পাকা দালান নির্মান করতে গেলে মস্তোফা ফকিরের ছেলে রমজান ও রিয়াজসহ ১০/১৫ জনের একটি দল নির্মান কাজে বাঁধা দেয়। এরপর প্রায় এক বছর পর্যন্ত অন্যের ঘরে বসবাস করে আসছেন ইসমাইল ফকির ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ বছর ৮ ফেব্রুয়ারী ইসমাইল ফকির পুনরায় ঘর তোলার কাজ শুরু করলে আবারও নির্মান কাজে বাঁধা দেয় তাঁরা।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।