আজ বুধবার , ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

কামার পাড়ায় আগের মত নেই হাকডাক

প্রকাশিতঃ ৩:২৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৩, ২০২১ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪১০ বার

ওমর ফারুক সুমনঃ প্রখর আগুনের তাপে শরিরের ঘাম জড়িয়ে রাতদিন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে কর্মকাররা। কোরবানীর পশু জবাইসহ সংসারের নিত্যদিনের কাজ করার জন্যে দা, ছুড়ি, চাকু তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তারা। বিশেষ করে কোরবানীর ঈদ আসলে তাদের আয়টা বেড়ে যায়। সেই সাথে ব্যস্তটাও বেড়ে যায় কয়েকগুন। কিন্তু বরাবরের মত এইবার কামার পাড়ায় আগের মত নেই হাকডাক। ক্রেতার তেমন চাপও নেই। এইবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্নরকম। দু’একজন আসলেও পুরাতন ছুরি বা চাকুটা একটু মেরামত করতে আসছে। একেতো ক্রেতার তেমন চাপ নেই, অন্যদিকে সংসার চালাতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্মকারদের। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কামার পাড়ায় কর্মকারদের সাথে কথা বললে মেলে এমন তথ্য। কর্মকাররা জানান, কোরবানীর ঈদ আসলেই দা, ছুড়ি, চাকু তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়তো ক্রেতারা। এইবারের চিত্র সম্পূর্ণ উলটো। কোরবানীর ঈদ ঘনিয়ে আসলেও ময়মনসিংহে কয়েক শতাধিক কর্মকার অলস সময় পার করছে। হালুয়াঘাটেও একই চিত্র। ক্রেতাদের তেমন কোনো চাপ না থাকায় সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছে তাদের। উত্তর খয়রাকুড়ি গ্রামের শ্যামল কর্মকার (৫৫) বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসলেও ক্রেতা নেই। আগে প্রতিদিন ২/৩ হাজার টাকা বেচাকেনা করতে পারতাম। এখন মাত্র ১/২ শত টাকা বেঁচতে পারি। বাদল কর্মকার (৪৫) বলেন, সংসার চলেনা। খুবই বাজে অবস্থা। লকডাউনের কারনে লোকজন আসেনা। রঘুনাথপুর গ্রামের জীবন কর্মকার (৫০) ও বিপ্লব কর্মকার (৩৫) বলেন, লোহার দাম বেড়ে গেছে। দু’চারজন আসলেও পুরাতন কাজ নিয়ে আসে। নতুন করে কেউ দা, ছুড়ি, চাকু তৈরি করতে দেয়না। কর্মকারদের দাবী, ঈদকে সামনে রেখে রাত্রী পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান চালানোর সুযোগ চান সকলেই। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবেন এমন দাবী তাদের। ঈদের সামনে অন্তত মানবিক দিক বিবেচনায় কর্মকারদের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টি দেয়ার দাবী সচেতন মহলের।

Shares