কামার পাড়ায় আগের মত নেই হাকডাক
প্রকাশিতঃ ৩:২৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৩, ২০২১ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪১০ বার
ওমর ফারুক সুমনঃ প্রখর আগুনের তাপে শরিরের ঘাম জড়িয়ে রাতদিন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে কর্মকাররা। কোরবানীর পশু জবাইসহ সংসারের নিত্যদিনের কাজ করার জন্যে দা, ছুড়ি, চাকু তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তারা। বিশেষ করে কোরবানীর ঈদ আসলে তাদের আয়টা বেড়ে যায়। সেই সাথে ব্যস্তটাও বেড়ে যায় কয়েকগুন। কিন্তু বরাবরের মত এইবার কামার পাড়ায় আগের মত নেই হাকডাক। ক্রেতার তেমন চাপও নেই। এইবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্নরকম। দু’একজন আসলেও পুরাতন ছুরি বা চাকুটা একটু মেরামত করতে আসছে। একেতো ক্রেতার তেমন চাপ নেই, অন্যদিকে সংসার চালাতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্মকারদের। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কামার পাড়ায় কর্মকারদের সাথে কথা বললে মেলে এমন তথ্য। কর্মকাররা জানান, কোরবানীর ঈদ আসলেই দা, ছুড়ি, চাকু তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়তো ক্রেতারা। এইবারের চিত্র সম্পূর্ণ উলটো। কোরবানীর ঈদ ঘনিয়ে আসলেও ময়মনসিংহে কয়েক শতাধিক কর্মকার অলস সময় পার করছে। হালুয়াঘাটেও একই চিত্র। ক্রেতাদের তেমন কোনো চাপ না থাকায় সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছে তাদের। উত্তর খয়রাকুড়ি গ্রামের শ্যামল কর্মকার (৫৫) বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসলেও ক্রেতা নেই। আগে প্রতিদিন ২/৩ হাজার টাকা বেচাকেনা করতে পারতাম। এখন মাত্র ১/২ শত টাকা বেঁচতে পারি। বাদল কর্মকার (৪৫) বলেন, সংসার চলেনা। খুবই বাজে অবস্থা। লকডাউনের কারনে লোকজন আসেনা। রঘুনাথপুর গ্রামের জীবন কর্মকার (৫০) ও বিপ্লব কর্মকার (৩৫) বলেন, লোহার দাম বেড়ে গেছে। দু’চারজন আসলেও পুরাতন কাজ নিয়ে আসে। নতুন করে কেউ দা, ছুড়ি, চাকু তৈরি করতে দেয়না। কর্মকারদের দাবী, ঈদকে সামনে রেখে রাত্রী পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান চালানোর সুযোগ চান সকলেই। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবেন এমন দাবী তাদের। ঈদের সামনে অন্তত মানবিক দিক বিবেচনায় কর্মকারদের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টি দেয়ার দাবী সচেতন মহলের।