কালাপাগলা-বাঘাইতলা-গামারিতলা! ভোগান্তির সড়ক ৯ কিলো
প্রকাশিতঃ ২:৩৯ অপরাহ্ণ | জুলাই ০৪, ২০২১ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৭৫ বার
ওমর ফারুক সুমনঃ বর্ষা এলেই কাদা আর গর্তে একাকার হয়ে যায় সড়ক। সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় আশপাশের ২০টি গ্রামের একমাত্র ভরসা ৯ কিলোমিটার সড়কের উপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার মানুষের। দীর্ঘদিনেও পাকা না করায় ভোগান্তির যেনো অন্ত নেই। এই চিত্র ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কালাপাগলা থেকে বাঘাইতলা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার আর গামারিতলা থেকে মীর্জা বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের উপরে সৃষ্টি হয় কাদা আর বড় বড় গর্ত। চলাচলের জন্যে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। জীবিকার তাগিদে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে আসা ছোট বড় পরিবহন গুলোকে পড়তে হয় চরম বিপাকে। এই সড়কের উপর নির্ভরশীল হালুয়াঘাট – নালিতাবাড়ী দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। অপরদিকে একটি কলেজ, বেশ কয়েকটি সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বাজারে আসা পথচারীদেরকেও পড়তে হয় মহা বিপাকে। ভোগান্তির যেনো শেষ নেই! পথচারীরা জানান, অনেক সময় দিগুন ভাড়া দিয়েও যাত্রীরা কোনো পরিবহন না পেয়ে প্রায়ই পড়তে হয় ভোগান্তিতে। সড়কে প্রায়ই ফেঁসে যায় ট্রলি, রিকসাসহ নানা ধরনের পরিবহন এমন দাবী ভুক্তভোগীদের। কালাপাগলা গ্রামের ভুক্তভোগী হাফিজ উদ্দিন মাষ্টার বলেন, এই সড়ক দিয়ে বালুবাহী ট্রলি প্রতিদিন যাতায়াত করে। যার কারনে বর্ষার সময় সড়কটি গর্তে পরিনত হয়। গত ২০ বছর যাবত এই দৃশ্য। বর্তমানে সড়কটি সংস্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। স্থানীয় ভুক্তভোগী নবী হোসেন (৬০) ও কুদ্দুস আলী (৩০) বলেন, এমন সড়ক আর কোথাও নেই। এই সড়কটি পাকাকরনে জনপ্রতিনিধিদের কোনো সু’দৃষ্টি নেই। এত কষ্ট পোহাতে হয় তা বলার ভাষা নেই বলে মন্তব্য তাদের। সড়ক দিয়ে হেটে আসা জিগাতলা গ্রামের এক নারী পথচারী বলেন, দিগুন ভাড়া দিতে চেয়েও কোনো রিক্সা পাননি তিনি। তাই হেটেই বাড়ী চলছেন। সড়কে আটকে পড়া রমজান (৩২) নামে এক ট্রলি চালক বলেন, রাস্তার উপরে এইভাবে প্রতিদিন আমরা ফেঁসে যায়। সড়কের দুর্ভোগের কারনে প্রায়ই ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। চাকা খুলে যায়। ২নং জুগলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কটি পাকাকরনের জন্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থ বরাদ্ধ সাপেক্ষে কাজ শুরু হবে। ###