বাউফলে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি

প্রকাশিতঃ ৭:০৫ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৫৪ বার

তোফাজ্জেল হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময়ে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাউফল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ইব্রহিম ফারুক এবং উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ খানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসুচী পালন করেছেন নাজিরপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড বাংলাবাজার এলাকায় মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর সভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামছুল আলম মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রহিম খলিল, আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন ব্যাপরী, নাজিরপুর ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ মোল্লা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহি অফিসার জাকির হোসেন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ওই কর্মসূচীতে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করেন।
এর আগে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজ সমর্থক এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটানা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন সন্ধ্যায় পৌর মেয়র সমর্থিতরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি ফেরার পথে পাবলিক মাঠের দক্ষিন পার্ম্বে রিক্সা স্ট্যান্ডে পৌছালে মিছিলের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন সাংসদ সমর্থকরা। এরপর উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে সাংসদ পক্ষের নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইব্রহিম ফারুক ,উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ এবং মেয়র পক্ষের বাউফল সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ইউসুফ রানা ও পৌর যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুল্লাহসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।