হালুয়াঘাটে বিএসএফ’র গুলিতে নিহতের নেপথ্যে গরু পাচারের অভিযোগ
প্রকাশিতঃ ৪:০৫ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ২৩, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৩৩ বার
ওমর ফারুক সুমনঃ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গোবরাকুড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে মো. খায়রুল ইসলাম (৪৮) নামে এক ব্যক্তি নিহতের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গোবড়াকুড়া সীমান্তে ১১২৪-৫-এস নং পিলারের নিকট এ ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের দাবী, নিজের গরু সীমানার কাছ থেকে আনতে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মেয়ে খাদিজা আক্তার (২২) বলেন, রাত আটটার দিকে নিজের গোহাল ঘর থেকে গরু বের হয়ে সীমানার কাছে চলে যায়। সেখান থেকে গরু আনতে গেলে খাইরুল ইসলামকে লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি চালায়। খাইরুলের বড় ভাই কাদির (৬৫) বলেন, রাত আটটার সময় বাংলাদেশ ভারতের গোবড়াকুড়া সীমানায় গুলির শব্দ শুনতে পান। বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয়েছেন তার ভাই খাইরুল এমন দাবী তার। তবে এদিকে স্থানীয়দের দাবী, নিহত খাইরুল ইন্ডিয়া থেকে গরু পাচার চক্রের সাথে জড়িত। মূলত গরু পাচার করতেই সীমানা অতিক্রম করতে চেয়েছিলেন। বিএসএফ’র গুলি খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে সীমানা পার হয়ে গোপনে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পথে পথিমধ্যে মারা যান তিনি। সরেজমিনে গিয়ে সীমানা থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে রক্তের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় ও বিজিবিরা জানান, গুলিবিদ্ধবস্থায় আত্নরক্ষার্থে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে রক্তের এ ছাপ পরতে পারে। এ ঘটনায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে নিহতের কারন আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হতে পারে প্রাথমিক এমনটা জানিয়ে বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের সিইও ল্যাফট্যানেন্ট কর্ণেল তৌফিকুর রহমান বলেন, তদন্ত চলছে। নিহতের প্রকৃত কারন জানার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ###