হালুয়াঘাটে নবান্নকে ঘিরে পিঠা পুলির উৎসব!
প্রকাশিতঃ ৬:০৩ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ০১, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৬১ বার
ওমর ফারুক সুমন: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমিতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে নবান্ন উৎসব। সোমবার উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের বতিক্রমী এ আয়োজনে সীমান্ত এলাকায় খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের লোকদের মাঝে বিরাজ করে অন্য রকম আমেজ। পিঠা পুলি খেতে দর্শকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্যে নির্মিত কালচারাল একাডেমির পাঙ্গন। উৎসবের আয়োজক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম ও কৃষি অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গারো সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে নবান্ন উৎসব। তাই দিনটি উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী ভাবে পালন করা হয়েছে দিনটিকে। নমূনা শস্য কর্টন ধান কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম ও কৃষি অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান। পরে পিঠা-পুলির আয়োজনে উৎসবটির মূল প্রাণ সঞ্চার করেন নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের একমাত্র সাংসদ মিষ্টার জুয়েল আরেং এমপি। নবান্ন উৎসব হচ্ছে সকল উৎসবের শিকড় এই ধারনা থেকেই মূলত আয়োজন করা হয় নবান্নের অনুষ্ঠানটি। ফলে গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা নেচে-গেয়ে আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে পালন করে থাকে নবান্নের এ উৎসবটি, এমন মন্তব্য আয়োজকদের। নবান্নের উৎসব পালন করা ছাড়া উৎসবের পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারেনা। তাই নতুন ধান ঘরে তোলার সাথে সাথেই সৃষ্টি কর্তার স্বরণে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয় বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় সাংসদ মিষ্টার জুয়েল আরেং এমপি। প্রতি বছর সীমান্ত অঞ্চলে বাঙ্গালীদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি গারো সম্প্রদায়ের হাজারো নারী পুরুষের মিলন মেলায় পরিনত হয় এ উৎসব। এ উৎসব গারো সম্প্রদায়ের জীবন মানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এমটাই প্রত্যাশা তাদের। নবান্ন উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম, হালুয়াঘাট ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড তানভির আহমেদ, ওসি মোঃ মাহমুদুল হাসান, কবি ও লেখক জেমস জর্ণেশ চিরাণ, ট্রাইব্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ভদ্র ম্রং, অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির, কবি ও অধ্যাপক জালাল উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা।