আজ রবিবার , ১৪ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

অপূর্ব সৌন্দর্যের পিকনিক স্পট-পানিহাটা

প্রকাশিতঃ ১০:৩৮ অপরাহ্ণ | জুন ১৯, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১,১০০ বার

জাহাঈীর আলম,কুমুরিয়া (হালুয়াঘাট): পিকনিক স্পট কার না ভালো লাগে।ময়মনসিংহ শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার আর নালিতাবাড়ি-হালুয়াঘাট থেকে ১৫ কিলোমিটার পানিহাটা। শেরপুর জেলার, নালিতাবাড়ির অন্যতম পর্যটন পিকনিক স্পট। শহরের কোলাহল পুর্ণ জীবন থেকে একটু অবসর পেতে যে কেউ চলে আসতে পারেন শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের প্রকৃতির নৈসর্গিক শোভা মন্ডিত পানিহাটা পাহাড় এলাকায়। এখানকার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার সীমান্তঘেষা ঘন সবুজ শ্যামল বন, খরস্রোতা পাহাড়ী ভোগাই নদের সাথে মিতালী আর বৃক্ষরাজি দেখে ভ্রমন পিয়াসীদের মন উদ্বেলিত হয়। তারা কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলে যান শহরের জীবনের কর্মক্লান্তি। প্রকৃতির নিখুত ভালবাসায় হারিয়ে যান তারা স্বপ্নের রাজ্যে। পানিহাটা পি উঁচু পাহাড় থেকে পাহাড়ে উঠার জন্যে রয়েছে পায়ের তৈরি রাস্তা। কোথাও গহীন জঙ্গল আবার কোথাওবা ছোট-বড় পাহাড়।পানিহাটা-তারানি ভারত সীমানাঘেষা হওয়ায় চিরসবুজ বাংলা মায়ের অপরুপ দৃশ্য দেখার পাশাপাশি ভারতের সবুজ বনানী দর্শনার্থীদের অনেক বেশি মনের তৃপ্তি মেটায়। পানিহাটা পাদ্রি মিশনের পশ্চিম পাশে উচু পাহাড়ে দাড়িয়ে উত্তর দিকে চাইলে চোখে পড়ে নীলাভ-চিরসবুজ ভারতের পাহাড়ী তুরা জেলাকে আবছা আবরণের চাদরে জড়িয়ে নিয়েছে কুয়াশার মতো মেঘ কখনো বা কুয়াশা নিজেই। দূরের টিলাগুলো কেবলই লুকোচুরি খেলে এরই আড়ালে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ছোট ছোট পাহাড় গুলোকে ফাঁকি দিয়ে তুড়ার অববাহিকা থেকে সামনে সোজা এসে পশ্চিমে চলে গেছে পাহাড়ি খরস্রোতা নদ ভোগাই। একপাশে তার কাশবন আর অপর পাশে শত ফুট উঁচু দাঁড়িয়ে থাকা সবুজে জড়ানো পাহাড় ও নদী। নদীর টলটলে স্বচ্ছ পানির নিচে গড়াগড়ি খাচ্ছে নুড়ি পাথরগুলো। সামনের একশ গজ দূরে উত্তরে ভারত অংশে পিঁচঢালা আকাবাঁকা রাস্তা পূর্ব থেকে পশ্চিমে পাহাড়ের বুকচিরে চলে গেছে। আর মাঝে মধ্যেই হুসহাস করে ছুটে চলছে মালবাহী ট্রাকগুলো। চারদিকে ছোট ছোট অসংখ্য পাহাড়ের সারি সারি পাহাড়। পূর্ব দিকের কয়েকটি পাহাড়ের গা ঘেঁষে ভোগাই নদীতে এসে মিশেছে ছোট একটি পাহাড়ি ঝরণা। তার পাশেই খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের উপাসনালয় পানিহাটা পাদ্রি মিশন। এখানে আছে ছোট একটি চিকিৎসা কেন্দ্র, বিদ্যালয় আর ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের থাকার হোস্টেল। সেখানে শিশু-কিশোরদের কোলাহল। এসব মিলে প্রকৃতি প্রেমীদের প্রতিনিয়ত আকর্ষণ করে অপরূপা পানিহাটা-তারানি পাহাড়। অবশ্য এলাকার জনগন এ পাহাড়টিকে পানিহাটা নামেই জানেন। কিন্তু এই সৌন্দর্য্যের ভাগটা শুধু পানিহাটাই নিতে পারেনি। এর একটা অংশে ভাগ বসিয়েছে পাশের তারানি গ্রামের পাহাড়। তাই দর্শণার্থীদের জন্য পানিহাটা-তারানি দুটো মিলেই গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র। সবুজ চাদরে ঘেরা গারো পাহাড়ে প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে চলে যান প্রকৃতির রাজ্যে। যারা শুনেছেন নালিতাবাড়ির বন্য হাতির তান্ডব তারা মিশনের পুর্বপাশে গারো উপজাতি পল্লীর অধিবাসীদের কাছ থেকে শুনতে পারবেন বন্যহাতির ধংসলীলার কথা।বিনোদন কেন্দ্রের প্রবেশদ্বারেই পূর্বেই রয়েছে প্রায় ১ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ। তারপর অবস্থিত এই পানিহাটা। ময়মনসিংহ থেকে বাসযোগে আসতে হবে হালুয়াঘাট । সেখান থেকে ৪ কিলোমিটার উত্তরে গোবড়াকূড়া বাজার থকে সীমান্ত পথে ১০ কিলোমিটার প্রশ্চিমেই অবস্থিত এই সৌন্দর্যের পিকনিক স্পট পানিহাটা। এছাড়া শেরপুর হয়ে আসলে নালিতাবাড়ি উপজেলা থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর দিকে চার-আলী বাজার থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পুর্বেই পানিহাটা। পানিহাটা এক সৌন্দর্য জায়গায়,যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীতকরণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এ স্থানটি আকর্ষণীয় একটি পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে সরকারের কোষাগার সমৃদ্ধ হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক থাকলেও বর্তমানে অনেকটা উন্নত হয়েছে। সে সঙ্গে সরকারী বা সরকারের সহযোগিতায় বেসরকারী উদ্যোগে এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব।
Shares