অনিয়ম দূর্নীতির আখড়া রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় পে এন্ড ক্যাশ অফিস পর্ব-১
প্রকাশিতঃ ৭:২৭ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০১, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৪৫ বার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল বিভাগের পে এন্ড ক্যাশ অফিস বা বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপকের কার্যালয়। এই অফিস থেকে প্রতিমাসে ২৪’শর বেশি রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা পেনশন তোলেন। তবে জীবনের শেষ সম্বল এই পেনশনের ক’টা টাকা তুলতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বয়স্ক নারী-পুরুষ পেনশনারদের।
পেনশন উত্তোলনকারীরা জানান, পেনশন তুলে ফেরার পথে বকশিসের নামে অফিস কর্মচারীদের দিতে হয় ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত। না দিলে পরবর্তী মাস থেকে চরম ঝামেলায় পড়তে হয়। এছাড়া সিরিয়াল মেইন্টেনে আছে অনিয়ম,এতে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। এসব বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ কেউ। কেউবা আবার বলেন খুশি হয়ে চা পানের খরচ দিয়েছেন। তবে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অধিকাংশ পেনশন উত্তোলনকারীদের। গত দুইমাসে পেনশনের টাকা প্রদাণকালে অফিসের ভেতরে ও আশেপাশে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পে এন্ড ক্যাশ অফিসে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী রেজাউল,মোহন ও মোহাম্মদ আলী পেনশন উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে অর্থ আদায় করছেন। বাংলাদেশ রেওলওয়ে পেনশনের টাকা ব্যাংকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একারনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। এ বাবদেও জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০০টাকা। গেল দুই মাসের টানা অনুসন্ধ্যানে বেড়িয়ে আসে এসব অনিয়মের তথ্য। অভিযোগ আছে পেনশনারদের কাছ থেকে এভাবে প্রতিমাসে আদায় করা হয় দুই লাখ টাকার বেশি। পরে এসব টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন অফিসের সবাই। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে এ প্রতিবেদককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তার অফিসে এসব হয়না। পরে অর্থ নেওয়ার কিছু চিত্র তাকে দেখানো হলে স্পষ্ট করে উত্তর দিতে পারেননি তিনি। এক পর্যায়ে বলেন আমি অফিস কর্মচারীদের ডেকে জিজ্ঞেস করবো। টাকা লেনদেনের চিত্র দেখার পরেও এমন কথা অনেকটাই রহস্যজনক মনে হয়েছে। শেষে তিনি অনেকটাই দায়সারাভাবে বললেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে তাদেরকে এখান থেকে অপসারণ করবো। গত আগষ্ট মাসে এমন কথা বলেন বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপক (ডিপিএম) । এরপর তার অফিসে বন্ধ হয়নি অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় কার্যক্রম। এমনকি এখনও পর্যন্ত বহাল তবিয়তে আছেন সেসব কর্মচারীরাও। চালিয়ে যাচ্ছেন অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে এমন অনিয়ম চলে আসলেও দেখার কেউ নেই আর তাই এই অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আরও অনিয়ম দূর্নীতির সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে দ্বিতীয় পর্বে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।