এটি সড়ক নাকি ফসলী জমিনের মাঠ
প্রকাশিতঃ ৮:৫৭ অপরাহ্ণ | জুলাই ০৪, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৯৯ বার
তোফাজ্জেল হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: দেখে বুঝার উপায় নেই এটি সড়ক নাকি ফসলী জমিনের মাঠ। আসলে এটি হচ্ছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া-কালিশুরী সড়ক। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে মেরামতের কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের এ বেহাল দশা । ফলে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জনসাধারণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৬-২০১৭ইং অর্থ বছরে স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তখন নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ফলে সড়কটি নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই আবার খানাখন্দে ভরে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আর সংস্কার করা হয়নি। ২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বছরে কালিশুরী-কাছিপাড়া ৪ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে মেরামতকাজ পায় আজাদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে সড়কটি মেরামতকাজের ব্যায় ধরা হয় প্রায় সোয়া কোটি টাকা। কার্যাদেশ পেয়ে সামান্য অংশের কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখেন ঠিকাদার। ফলে বর্ষা মৌসুমে এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটির একাধিক অংশের ইট, পাথর ও খোয়া উঠে গিয়ে কাঁদামাটিতে পরিণত হয়েছে। এর ফলে কালিশুরী ও কাছিপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত মহা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ওই দুটি ইউনিয়নের মানুষ এই সড়কটি দিয়ে উপজেলার সদরের সঙ্গেও যোগযোগ রক্ষা করেন । এছাড়াও মালবাহি ট্রাক ও ট্রলিসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। কাছিপাড়া বাজারে ব্যবসায়ী জয়নাল আকন বলেন,‘বর্তমানে সড়কটি দেখলে মনে হয়, এখানে ধান রোপন করা হবে, তাই নাঙ্গল দিয়ে চাষ করা হয়েছে।’ এই সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে বর্তমানে ওই দুটি ইউনিয়নের মানুষ প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে কনকদিয়া ও বগা হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করছেন। সড়কটির মেরামতকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন, সড়কটির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জনসাধারনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।