জাতীয় পতাকা ও আমাদের মানসিকতা
প্রকাশিতঃ ১২:৫০ অপরাহ্ণ | জুন ১৮, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১,৪২৪ বার
জাহাঙ্গীর আলমঃ আমাদের দেশের মতো জাতীয় পতাকার অপব্যবহার ও অবমাননা, আর কোন দেশে হয় কিনা আমার জানা নেই। বিশেষ, বিশেষ জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা বা অর্ধনমিত রাখার নিয়ম আছে। কিন্তু শোক দিবস বা ২১ ফেব্রুয়ারিতে আমাদের দেশে পতাকা উত্তোলন করা হয় কিন্তু অজ্ঞতার কারণে সম্পূর্ণ উড্ডীন করে অনেকে। জাতীয় পতাকা দেশের মান মর্যাদার প্রতিক,খেলার মাঠে বা আন্তর্জাতিক কোন বহুজাতিক সম্মেলনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। আমাদের অনেকে পতাকা কখন উত্তোলন করতে হয় কখন নমিত করতে হয় তা জানিনা, তাই দেখা যায় মাগরিবের আজানের পর ও পতাকা পত পত করে উড়ছে! আবার কখনো দেখা যায় জাতীয় পতাকার আদলে শাড়ী ও সার্ট পড়া হয়, এটা উচিৎ নয়। জাতীয় পতাকা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উড়ানো উচিত কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্মান দিতে জানে। দেখা যায়, যানবাহন আর বিভিন্ন দালান আর দোকানে নিরবধি জাতীয় পতাকা উড়ছে,এটা জাতীয় পতাকার অপমান। আমরা হুজুগী শুধু নিজ দেশের পতাকা নয় অন্য দেশের পতাকাকে ও অপমান করি। বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় আমরা যারা অন্ধ আর উগ্র সমর্থক তারা আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মান, ইতালি সহ বিভিন্ন প্রিয় টিমের পতাকা উত্তোলন করি বাড়ীর ছাদে আর ঐ পতাকা কখনো নামানো হয় না যতক্ষণ তা’ ছিঁড়ে না যায়! আমরা একটু সচেতন হলে, লাল সবুজের পতাকা মূল্যায়ীত হবে, জাতীয় পতাকার মূল্যায়ন হলে নিজেরাই মূল্যবান হবো।