মির্জাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
প্রকাশিতঃ ৪:০৩ অপরাহ্ণ | জুন ২১, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৬৭ বার
অনলাইন ডেস্ক:টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহিষ চড়াতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পাশে তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে থাকলেও সে অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে গেছে।রোববার সকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউপির অবিরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুইজন হলেন অভিরামপুর গ্রামের মো. ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. শাজাহান মিয়া ও তার স্ত্রী এলোনা বেগম। শাজাহান গৃহস্থালীর পাশাপাশি বাঁশ তৈল বাজারে চায়ের দোকান করতেন। অনিক ও জান্নাত নামে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। রোববার সকালে শাজাহান মহিষ চড়াতে বাড়ির পাশে মাঠে যান। এক পর্যায়ে মাঠে পড়ে থাকা বিদ্যুতের মেইন লাইনের তারে জড়িয়ে পড়েন। তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে গেলে সেও বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পাশে থাকা তাদের চৌদ্দ বছরের ছেলে অনিক এগিয়ে গিয়ে আহত হলেও সে প্রাণে বেঁচে যান। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে উদ্ধার করেন। পরে বাঁশতৈল ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। অভিরাম গ্রামের বাসিন্দা অমিত রাজ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকায় বাঁশের খুটির সাহায্যে ওয়াপদার বিদ্যুতের মেইন লাইন টানা হয়েছে। যা খুবই বিপদজনক। মাঝে মধ্যেই বাঁশের খুটি ভেঙে বিদ্যুতের তার মাঠে পড়ে থাকে। আর সেগুলোতে জড়িয়ে মানুষ, গবাদী পশুসহ বন্যপ্রাণী মারা যায়। মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের খাম-খেয়ালীপনায় প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে যা খুবই দুঃখজনক বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিরামপুর গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।