হালুয়াঘাটে খাদ্য কর্মকর্তার অনিয়ম
প্রকাশিতঃ ১:৪৬ অপরাহ্ণ | মে ১৪, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৮৯ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বোর মৌসুমে সরকারী ভাবে খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ছাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন মিল মালিক সমিতির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে ধারা বাজার মেসার্স জুয়েল রাইচ মিলের সামনে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করে খাদ্য কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন বলেন, আমাদের ৩৬টি মিল মালিককে বাদ দিয়ে শধুমাত্র তিনটি মিল মালিক যথা মেসার্স শাকিল অটো রাইস, মেসার্স মাহিন অটো রাইস ও মেসার্স সাথী অটো রাইস মিলকে নিয়মবহির্ভুতভাবে চাল সংগ্রহে বরাদ্ধ দিয়েছে। আর আমাদের ৩৬টি রাইস মিলকে
ক্যাপাসিটি অনুযায়ী বরাদ্ধ দেয়ার কথা থাকলেও তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বরাদ্ধকৃত তিন মিল মালিকদের সাথে খাদ্য কর্মকর্তার যোগসাজসে চাতাল মিল ও সেমি অটো মিলগুলোকে বাতিল করেছেন। এ জন্যে খাদ্য কর্মকর্তা ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েই এমন কাজ করেছেন এই অভিযোগ বঞ্চিত মিল মালিকদের। সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, আমরা অন্যান্য বছর খাদ্য গুদামে চাল দিয়েছি। তখন যদি আমাদের মিলের পাক্ষিক ক্ষমতা থাকতে পারে তাহলে এই বছর কেনো নেই। তিনি বলেন, অনিয়ম করে খাদ্য কর্মকর্তা শুধুমাত্র তিনজনের নামে বরাদ্ধ দিয়েছে। মিল মালিকদের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ছাইফুল ইসলাম উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে এই কাজটি করেছেন। ইতিমধ্যে খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা ছাইফুল ইসলামের বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করে গত ৫ মে তারিখে স্থানীয় সাংসদ মিষ্টার জুয়েল আরেং’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কতিপয় মিলমালিকগণ। অভিযোগকালে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন। এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ছাইফুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে স্বচ্ছতার স্বার্থে সম্পূর্ণ নিয়ম তান্ত্রিকভাবে মিল মালিকদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। যারা বাদ পড়েছে তারা নিয়মে পড়েনাই বিধাই তারা বাদ পড়েছে। তিনি বলেন, তিনটি মিলকে বরাদ্ধ দিয়েছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নেতৃত্বে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাসহ যৌথ একটি চার সদস্যের কমিটি রয়েছে। তারাই এ অটো মিলগুলোকে সিলেকশান করেছে। এখানে আমার কোনো হাত নেই। শুধু চাতাল মিলগুলোকে দেখে থাকি আমি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিল মালিক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স শাকিল অটো রাইস মিলের প্রোপাইটর আজিজুল আহসান বলেন, আমাদের মিলের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ উক্ত কমিটি বরাদ্ধ দিয়েছে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। আর যে সমস্ত মিল মালিক বাদ পড়েছে তা আমি জানিনা। সংবাদ সম্মেলনকালে উপস্থিত ছিলেন মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সহ সভাপতি আওলাদ হোসেন ও নবী হোসেন সহ অন্যান্যরা।###