বাউফলে ঘূর্ণিঝড়ে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত
প্রকাশিতঃ ১০:১৯ অপরাহ্ণ | মে ০৮, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৬১ বার
তোফাজ্জেল হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য দুটি টিনসেড ভবন। যার একটি ভবন হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয় ও টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। ওই ভবনটিতে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠদান করানো হত। যে টিনসেড ভবনটি আছে তাও খুবই জরাজীর্ণ। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা তাঁতেরকাঠী বালিকা দাখিল মাদরাসায়।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎ ঘূর্নিঝড়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান ভবন বিধ্বস্তসহ টিনের চালা উড়ে গেছে । ১৯৮৪ সালে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় সমাজসেবক আবদুল গনি প-িত ওরফে গনি সওদাগর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত করেন। বর্তমানে মাদরাসাটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় তিনশত। পরীক্ষায় ফলাফলের দিক দিয়েও রয়েছে উপজেলার মধ্যে শীর্ষে।
মাদরাসাটির সুপার মাও.আবদুর রব জানান, দীর্ঘ বছর ধরে তাঁর প্রতিষ্ঠানটি জরাজীর্ণ অবস্থা রয়েছে। সরকারি কোন অনুদান না পাওয়ায় ওই জরাজীর্ন ভবনেই চলছে পাঠদান।এ কারণে কোনো ঝড় হলেই তাঁর প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হয়। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বিঘিœত হয়। এ সময়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নাজিরপুর ইউনিয়নে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে একমাত্র তাঁর মাদরাসা ব্যতীত সব প্রতিষ্ঠানেই একাধিক পাকা ভবন রয়েছে। মাদরাসাটি তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিও জানান তিনি।
এদিকে বগা ইউনয়নের সাবুপুরা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি আধাপাকা ভবনের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ওই ভবনটিতে একটি শ্রেণি কক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন ও প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)জাকির হোসেন সাংবাদিককে বলেন,‘এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। তাই খোলার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পাঠদানের উপযোগী করে তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’