আজ মঙ্গলবার , ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

মধুর সঙ্গে ৭টি কালো জিরে খেলেই আটকাবে করোনা! সত্যি না মিথ্যে?

প্রকাশিতঃ ৯:৪২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ১২, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৩২ বার

মধুর সঙ্গে ৭টি কালো জিরে

ডেস্ক রিপোর্টঃ একটি মেসেজ এবং একটি ভিডিয়ো, যেখানে বলা হচ্ছে, ‘কালো জিরে থেকে ১০০ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাওয়া যাচ্ছে। তাই ব্রেকফাস্টের আগে মধু আর গরম জলের সঙ্গে খেয়ে ফেলুন ৭টি কালো জিরে (কোনও কোনও মেসেজে আবার বলা হচ্ছে ৭ গ্রাম)। তা হলেই বাঁচবেন কোভিড-১৯ থেকে’। নতুন এক গবেষণা অনুয়ায়ী কালো জিরে এবং তার তেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে অনেকেই শেয়ার করেছেন এই মেসেজ। শুধু শেয়ার করাই নয়, অনুরোধ জানানো হচ্ছে এই তথ্য ছড়িয়ে দিতে।
এই তথ্য কি সঠিক?না, কালো জিরে যে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করে তার কোনও প্রমাণ নেই। আর এতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনও থাকে না।
সত্যি কী এবং কী ভাবে তা যাচাই করল?
মুসলিম, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে কালো জিরের ওষধি গুণ বেশ সমাদৃত। উত্তর আফ্রিকার বাসিন্দাদের মধ্যেও এর কদর রয়েছে। এর নির্যাস সর্দি এবং বিভিন্ন অ্যালার্জির ক্ষেত্রে কার্যকরী। তবে তা যে কোভিড-১৯ এর ভাইরাসকে ঠেকাতেও কার্যকরী, তার কোনও প্রমাণ নেই। কালো জিরের বৈজ্ঞানিক নাম নাইজেলা স্যাটিভা। এর থেকে নাইজেলিডিন এবং আলফা হেরেডিন বলে দু’টি নির্যাস পাওয়া যায়। গবেষক সেলিম বুশেটুফ এবং নুরউদ্দিল মাসুমের সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে এই নির্যাস এবং কিছু ওষুধের একটি যৌগ তৈরি করে যদি কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপর প্রয়োগ করা যায় তা হলে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা ক্লোরোকুইনের কাছাকাছি এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চেয়ে বেশি। তাই কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় কার্যকর হওয়ার ভাল সম্ভাবনা আছে। তবে এই নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। এমনটাই বলা হয়েছে ওই গবেষণায়। আমরা সেই গবেষণাপত্রটিও ঘেঁটে দেখি। ২০১৪ সালে ফার্মাকগনসি পত্রিকায় প্রকাশিত সেই গবেষণাপত্রে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কালো জিরে এবং ক্লোরোকুইনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ছ’বছর আগে কোভিড-১৯ রোগটির অস্তিত্বই ছিল না, ফলে ওই গবেষণাটিও কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে খাটে না। কোনও গবেষণাপত্রেই দাবি করা হয়নি যে কালো জিরে থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাওয়া যায়। ফলে ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টটির দাবিরও যৌক্তিকতা নেই।

Shares