আজ শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা হালুয়াঘাট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে হাঁস-মুরগি বিতরণ ইশ্বরগঞ্জে বালু শ্রমিক আজিজুল হত্যার আসামী মাখন আটক শিক্ষার্থীদের বেতন অর্ধেক করে দিতে হবে-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে তেলের দোকানে অগ্নিকান্ড ম্যানেজিং কমিটির, সভাপতির পক্ষ থেকে জিপিএ-৫ পেলেই মিলবে ল্যাপটপ! হালুয়াঘাটে যুগান্তর স্বজন সমাবেশে কেক কাটলেন এমপি ‘সায়েম’ শিক্ষার্থীদেরকে নীতিকথা শোনাতে হবে- ইউএনও নালিতাবাড়ী নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আসছেন ‘হাজী মোশারফ’ নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ‘হাজী মোশারফ ‘ নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হতে চান “হাজী মোশারফ”

হালুয়াঘাটে সবজি’র দাম না পেয়ে লোকসানে শতাধিক কৃষক

প্রকাশিতঃ ১:৩৬ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ১২, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৫৭ বার

সবজি'র দাম না পেয়ে লোকসানে শতাধিক কৃষক

ওমর ফারুক সুমন: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সবজির দাম না পেয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সবজি ক্ষেতে আগুন দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। ফলে লোকসানের মুখে উপজেলার ঘিলাভুই, উত্তর বাঘাইতলা, মাঝড়াকুড়া গ্রামের শতাধিক সবজি চাষী। সবজি বিক্রি করতে না পেরে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পূর্ব ঘিলাভূই গ্রামে ঝিঙা ক্ষেতে আগুন দেয়া বেশ কিছু হতাশাগ্রস্থ কৃষক। একইসাথে লক্ষাধিক টাকার সবজি নষ্ট করে স্থানীয়রা। স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক আড়তদার জানান, কৃষকদেরকে ঝিঙা চাষ করতে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা আগাম পরিশোধ করেছেন তিনি।কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যানবাহন না চলায় সবজি বিক্রি করতে পারছেনা। তাতে চরম বিপাকে রয়েছেন আড়তদার রুহুল আমিন।তিনি বলেন, এ অবস্থায় তার আসল টাকাতো দূরের কথা, নিঃস্ব হওয়া উপক্রম হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত সবজি ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করার কথা ছিলো। কিন্তু দেশের এই দুর্দিনে ঢাকাতেও নেই সবজির দাম। ঘর থেকেই মানুষ বের হতে পারছেনা, সবজি কিনবে কেমনে? এমন মন্তব্য রুহুল আমিনের। পূর্ব ঘিলাভুই গ্রামের নবী হোসেন (৩০) জানান, তিনি এক একর মাটিতে ঝিঙা চাষ করেছেন। কিন্তু বাজারে নিয়ে গেলে কেউ কিনতে চায়না। বাজার একেবারেই কম। এ অবস্থায় চরম হতাশায় রয়েছেন তিনি। একই গ্রামের মাইন উদ্দিন (৫৫) ৭৫ শতাংশ মাটিতে ঝিঙা চাষ করেছেন। এরকমভাবে লিটন ১৬ কাঠা, সিরাজ (৪০) ১৪ কাঠা, মফিজ খা (৬০) ২৫ কাঠা, সোহাগ (৪০) ২৪ কাঠা, জয়নাল ১২ কাঠা, নুরু ৫ কাঠা, জামাল ৭ কাঠা, নিজাম উদ্দিন ৬ কাঠা মাটিতে ঝিঙা চাষ করেছেন। এরকম আরও বহু কৃষক অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ একর মাটিতে সবজি হিসেবে ঝিঙা চাষ করেছেন কয়েক গ্রামের শতাধিক কৃষক। কিন্তু বিক্রি করতে না পারায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে তাদের সবজি। পরিবহন আর ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা চরম হতাশায় দিনাতিপাত করছেন। ###

Shares