নাজনীনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আড়াই লক্ষ টাকা দাবী দালাল সোহেলের
প্রকাশিতঃ ৮:৪৮ অপরাহ্ণ | মার্চ ২০, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৪০ বার
ওমর ফারুক সুমনঃ সৌদি আরবে দালাল সোহেল চৌধরীর হাতে জিম্মি হালুয়াঘাটের নাজনীন আক্তার বেবীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আড়াই লক্ষ টাকা দাবী করেছেন বলে জানান নাজনীনের পরিবার। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন নাজনীনের পিতা আব্দুল গনি। পরিবারের দাবী, নাজনীনকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে। সুত্র জানায়, ভাগ্যের অন্বেষণে সৌদিতে দালালের হাতে জিম্মি থাকার ঘটনায় দালাল চক্রের সাথে জড়িত মূল হোতা নাজনীনের স্বামী মাহবুব আলী। মাত্র ৭০ হাজার টাকার বিনীময়ে দালাল সোহেল চৌধরীর হাতে নাজনীনকে তুলে দিয়েছেন তার স্বামী মাহবুব আলী। গত ১৭ ফেব্রুয়ারী মতিঝিল ফকিরাপুল এলাকার লোকমান নামে এক এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব পাড়ি জমান নাজনিন আক্তার বেবি নামে যুবতী। নাজনীন হালুয়াঘাট উপজেলার প্রশ্চিম মনিকুড়া গ্রামের আব্দুল গনির কন্যা। শুক্রবার আব্দুল গনি’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তার মেয়ের জামাতা মাহবুব আলী মুঠোফোনে হুমকী দিয়েছে আজ। যদি ৩০ তারিখের মধ্যে আড়াই লক্ষ টাকা না দিই, তাহলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দেন নাজনীনের স্বামী মাহবুব আলী।ঘটনাসুত্রে জানা যায়, আব্দুল গনি তার কন্যা নাজনীন আক্তার বেবীকে বিয়ে দেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কারিরকান্দা চকরামপুর এলাকার নুর ইসলামের পুত্র মাহবুব আলীর (৩৫) কাছে। দুটি সন্তান আসে নাজনীনের ঘরে। এমন অবস্থায় ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরবে নিয়ে যান সোহেল চৌধরী নামে এক প্রতারক। আর এ চক্রে জড়িত তার স্বামী মাহবুব আলী, মতিঝিল ফকিরাপুল এলাকার মেসার্জ বায়তুল্লাহ অভারসিজ, জি নেট টাওয়ার, ৭ম তলা-৬/১, ১১৬-১১৭, ডি আই টি এক্সটেনশন রোডের এজেন্ট লোকমান আলী ও সৌদি আরবে অবস্থানরত সোহেল চৌধরী। তিনজনের নামে অভিযোগ এনে গত ১২ মার্চ ত্রিশাল থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন নাজনীনের পিতা আব্দুল গনি।
ইতিমধ্যে নাজনীনকে সৌদি আরবে দালাল সোহেল চৌধরীর হাতে জিম্মি রয়েছে। তাকে সকল ধরনের নির্যাতন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ নাজনীণের পরিবারের। নাজনীনকে মুক্ত করতে দালাল চক্রের দাবী আড়াই লক্ষ টাকা, এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দালালের হাতে জিম্মি নাজনীনের পিতা আব্দুল গনি।উল্লেখ্য নাজনীনকে দেশে ফেরত আনার সহযোগীতা চেয়ে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয়ে আবেদন করা হয়েছে।