হালুয়াঘাট মুন ফিলিং স্টেশনে তেলের মাপে কারসাঁজি
প্রকাশিতঃ ৬:০১ অপরাহ্ণ | মার্চ ১২, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৯০ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ তেলের ওজনে কারসাজি করে সাধারন মানুষদের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার মুন ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার রহমত আলীর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তেলের পরিমাপে কারসাজি করে অল্পদিনে কোটিপটি বনে গিয়েছেন দায়িত্ব থাকা উক্ত কর্মকর্তা। হালুয়াঘাট উপজেলা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুন ফিলিং স্টেশন নামে তেলের পাম্প। উক্ত পাম্পের ম্যানেজার রহমত আলীর প্রতারনার শিকার হচ্ছেন বাস, ট্রাকসহ ছোট –বড় সকল ধরনের পরিবহন মালিকরা। রহমত আলীর দাপটে মুখ খুলতেও হিমসিম খেতে হয় ভুক্তভোগীদের, এমন অভিযোগ তাদের। ইতিমধ্যে দূর্ণীতির অভিযোগে সাবেক ম্যানেজারকে অপসারণ করা হয়েছে বলেও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন, বার বার প্রতিবাদ করেও সুরাহা মিলছেনা এই অপকর্মের। দাপটের সাথে নানা কৌশলে ঠকিয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকদের। সম্প্রতি প্রকাশ ঘটে যাওয়া তেলের পাম্পে ওজনে কম দেয়ার এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধারা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আলম মিয়া বলেন, ম্যানেজার রহমত আলীর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসে। তারা মাপে কম দেয়। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অনেকবার সাবধান করেছি। কিন্তু কোনো কথাই কর্ণপাত সে করেনা। লালারপাড় গ্রামের মন্নাছ আলী (৬০) বলেন, আমি পাম্পে ট্যাংকি নিয়ে যায়। ট্যাংকি পূর্ব থেকেই মাপ দেয়া। ঘটনার দিন তেল ক্রয় করলে আমার সন্দেহ হয়। পরে বাড়িতে নিয়ে ওজন দিলে তেল নির্ধারিত পরিমানের চেয়ে অনেকটা কম থাকে। পরে পাম্পে এসে জানালে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে ম্যানেজার। একই গ্রামের রইছ উদ্দিন (৪৫) বলেন, এই পাম্পে তেল মাপে কম দেয়। তাদের তেল পরিমাপের ডিজিটাল মেশিন কয়েকটা। তিনি বলেন, আমরা যে মেশিন দিয়ে তেল নিতে চায়, সেটা থেকে তেল দিতে চায়না। ম্যানেজারের নির্দেশে কর্মচারীরা পুরাতন মেশিন থেকে তেল দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, এই পাম্পের ম্যানেজার রহমত আলীর আচরণ ভালোনা। লোকজন তেলের ওজনের ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। ধারা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এমদাদুল হক বলেন, মুন ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে তেলের পরিমাপে কম দেয়ার অভিযোগ আমাদের কাছেও আসে। কিন্তু আমরা বলার পরেও কোনো সংশোধন নেই। তিনি তদন্তের দাবী জানান কর্তৃপক্ষের কাছে। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ম্যানেজার রহমত আলী ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নারাজ। তাকে প্রশ্ন করতে গেলে ঘরের তালা লাগিয়ে দেন। কৌশলে কেটে পড়েন রহমত আলী। ।প্রতারনার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এই হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আমি বিএসটিআই কে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ###