কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় পানিতে ফেলে হত্যা করল মা! ঘাতক মা আটক
প্রকাশিতঃ ৮:২১ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৪০ বার
ডেস্ক রিপোর্টঃ মেয়ে সন্তান জন্ম হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নবজাতককে পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে পাষণ্ড মা মোসা. কোহিনুর বেগম (২৫)। সোমবার রাত আনুমানিক ৮টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জের শতগ্রাম ইউনিয়নের নোহাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কোহিনুর বেগম নোহাইল গ্রামের মো. আব্দুর রশিদের স্ত্রী। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক মা মোসা. কোহিনুর বেগমকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করে।
জানা গেছে, ৫ বছর পুর্বে উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের নোহাইল গ্রামের মো. আলালের ছেলে মো. আব্দুর রশিদের সাথে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের খামার খড়িকাদম গ্রামের মো. সুলতান আলীর মেয়ে মোসা. কোহিনুর বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রিয়া মনি নামে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। রিয়া মনির বয়স এখন ২ বছর। গত সোমবার দুপুরে কোহিনুর বেগমের কোলজুড়ে আসে আরেকটি কন্যাসন্তান। কোহিনুর বেগমের মনের বাসনা ছিল এই সন্তানটি তার ছেলে হবে। কিন্তু মেয়ে হওয়ায় সে পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
কোহিনুর বেগমের স্বামী মো. আব্দুর রশিদ জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে তার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। স্ত্রী-কন্যা সুস্থ এবং কোনোপ্রকার অসুস্থতা না থাকায় বিকেলে পাশের অর্জুনাহার বাজারে যায়। রাত ৮টায় ফিরে এসে দেখে ঘরে নবজাতকসহ স্ত্রী নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশে উত্তর দিকে একটি পুকুরের পানিতে কাপড়সহ নবজাতটি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার এসআই নিমাই কুমার রায় জানান, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জানতে পারি যে মা-সহ একটি নবজাতক নিখোঁজ। আমার তাৎক্ষণিক কর্মকর্তাসহ রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করি এবং ঘাতক কোহিনুর বেগমকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নবী হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কন্যাসন্তানের প্রতি বিরাগভাজন হয়ে মা তার নবজাতক কন্যাকে হত্যা করে। নবজাতকের মৃতদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরেরএম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নবজাতকের বাবা আব্দুর রশিদ বাদী হয় কোহিনুর বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।