আজ বুধবার , ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

আমার ভালবাসার প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই, সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই

প্রকাশিতঃ ১০:১৫ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৬৯১ বার

এম এ মান্নান : মাওলার কাছে যে জিনিসের উসীলায় নাজাতের আশা করি সেটা হলো আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান ফুলপুর এক্সিলেন্ট স্কুল এন্ড মাদ্রাসা। সরকারি চাকরি করার যোগ্যতা থাকলেও এটাকে ছেড়ে অন্য কোন চেষ্টা করিনি। মা-বাবার দেওয়া সম্পদ, স্ত্রীর বিয়ের স্মৃতি চিহ্ন ও নিজের যত আয় উপার্জন সবকিছু এখানে ইনভেস্ট করে তিলে তিলে একটু একটু করে সাজিয়েছিলাম স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠান। নিজের ছেলেমেয়ে বড় হলেও আজও থাকার একটি ঘরও করা হয়নি। ভাড়া ঘরেই জীবন কাটাচ্ছি। ঈদেও বাড়িতে যেতে মন চায় না। মা বাবার ফোনের চাপে গেলে ভাইদের ঘরে থাকতে হয়। তাই প্রায় ঈদেই ঈদেরদিন সকালে গিয়ে বিকালে খাওয়াদাওয়া শেষ করে মাদরাসায় ফিরে আসি। মাদরাসা ছাড়া বসার আমার আর কোন অফিস নেই। ভাড়া বাসায় শুধু ঘুমাই। তাও সবদিন নয়। প্রায় দিনই মাদরাসায় রাতেও আমার থাকা হয়। কোন বন্ধু বান্ধব নিয়ে বাড়িতে যেতে মন চায় না। কারণ, নিজের ঘর নেই। ভাইদের ঘরে সবসময় গিয়ে উঠতে অনেক সময় লজ্জা লাগে। যদিও ভাইয়েরা বলেন, তর আলাদা ঘর লাগে কেন? তুই কি বাড়িতে থাহস? এসব বলে আমাকে তারা সান্ত¦না দেন। সান্ত¦না দিলেও আমার স্ত্রী বলেন, তুমি টিন দিয়ে হলেও বাড়িতে একটা ঘর কর। মেয়েরা বড় হয়েছে। আরেকজনের ঘরে গিয়ে থাকতে লজ্জা করে। যে কোন বিষয়েই আব্বা আম্মা আমাদের কাছে ডাকেন। যেতে একটু দেরি করতে দেন না। যে কারণে ভাইদের ঘরে থাকতে হলেও যেতে হয়। না গেলে আব্বা আম্মা মানেন না। আমার স্ত্রী বলেন, কি করবা, যেতেই হবে। আব্বা আম্মা মানতো না। তারা যতদিন আছে ততদিন আমাদের ঘর না থাকলেও যেতেই হবে। তাই মা-বাবার ডাকে সবসময় সাড়া দেই। মনে করেছিলাম আগে মাদরাসাটা নিজস্ব জায়গায় দাঁড় করাই। পরে নিজের থাকার বন্দোবস্ত করবনে কিন্তু আজও তা সম্ভব হয়নি। স্ত্রীকে বুঝাই, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে আমার জন্য সম্পদ পছন্দ করেননি। তবে আখেরাত থেকে যাতে বঞ্চিত না হই সেজন্য বেশি বেশি আমল কর। এসব বলে বলে বাড়িতে কিছু না করে যতটুকু করেছি, মাদরাসায় করেছি। একটু একটু করে সাজিয়ে গুছিয়ে গড়ে তোলা আমার ভালবাসার এই মাদরাসা মূহুর্তে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাই হয়তো প্রত্যক্ষদর্শীরা আমার চোখে এত জল দেখেছেন। আমার এ কান্না শুধু ব্যথার নয় বরং আনন্দেরও। কোন ছেলের কিছু হয়নি বলে মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়াস্বরূপও কেঁদেছি। এসব বিষয় হয়তো আমার শুভাকাঙ্খী ও মিডিয়ার সহকর্মী ভাইদের নিউজ ও স্ট্যাটাস থেকে ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন। তারপরও নিজ থেকে একটু না লিখে শান্তি পাচ্ছি না। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকাল সোয়া তিনটার দিকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আমার স্বপ্নভঙ্গের এ আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে আনুমানিক প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ময়মনসিংহের ফুলপুর সরকারি কলেজ রোডে সোমবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে প্রতিষ্ঠানের পশ্চিম পাশের কক্ষগুলোতে নূরানী, নাজেরা ও হিফজের ক্লাস চলাকালীন পূর্বপাশের হাফ বিল্ডিং ঘরের এক কোণ থেকে হঠাৎ ওই আগুনের লেলিহান শিখা উপরে ভেসে উঠে। এতে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সবাই দৌঁড়ে ঘরের বাইরে চলে যায়। ফলে ছাত্র, শিক্ষক ও খাদেম কর্মচারীদের শারীরিক কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মূহুর্তে পুরা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আকাশে ধোঁয়ার কুন্ডলী ভাসতে থাকে। আমি তখন পৌরসভায় আয়োজিত সুজনের মিটিং দেরির কারণে ভাল লাগতেছিল না বিধায় ওখান থেকে মিটিং না করেই রিকশায় মাদরাসায় ফিরছিলাম। বাসস্ট্যান্ডে আসতেই আমার স্ত্রীর ফোন, কান্না ও আকাশে ধোঁয়া দেখতে পাই। রিকশায় বসেই তখন ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র অভিভাবক ড্রাইভার মাসউদ ভাই বলেন, হঠাৎ ঘরের দক্ষিণ কোণ থেকে আগুনের একটা স্ফূলিঙ্গ ভেসে ওঠে। আমি তখন অফিসের সামনে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছেলে মৃদুলের সাথে কথা বলতেছিলাম। ছাত্ররা তখন আরবী ক্লাস করতেছিল। আগুন দেখে প্রথমে আমিই চিৎকার দেই ও ছাত্রদের ঘর থেকে বের হতে বলি। পরে উপরে ধোঁয়ার বিশাল কুন্ডলী দেখে আশপাশোর লোকজনও দৌঁড়ে আসে। ছাত্ররা বাইরে গিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। চোখের সামনে নিজেদের সব পুড়ে যেতে দেখে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ধোঁয়ায় ফুলপুরের আকাশ তখন কালো হয়ে যায়। বিকেলেই যেন সন্ধা নেমে এসেছিল। এ সময় আগুন নেভাতে দৌঁড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়েন এলাকাবাসি। আমি মাদরাসায় পৌঁছে দৌঁড়ে ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে আর্মির অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার নজরুল ভাই ও অন্যরা আমাকে টেনে ধরেন। পুরা ঘরজুড়ে তখন আগুন জ্বলতেছিল। ভিতরে আরো কোন ছাত্র রয়ে গেছে কিনা তা দেখার জন্য জোর করেই আমি ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। ছাত্ররা তখন কান্নাকাটি করছিল এবং বলছিল ভিতরে কেউ নাই। তুমি ভিতরে যাইও না। এসব বলে আমাকে সবাই টেনে ধরে। এদিকে, বাসস্ট্যান্ডের জ্যাম মাড়িয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ আসতে আসতে ‘লাঠি আনতে আনতে কইন্যাইয়াই হারা’ অবস্থা হয়েছিল। আগুন নেভানো অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ, হেল্ডস ও ক্লিন সোসাইটির ইয়াং সদস্যরা। হঠাৎ ঘরে আগুন দেখে বেঁহুশ হয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির মালিক আকিজুল ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা ভাবী। আর আমাদের মাদরাসায় নূরানী পড়ুয়া ছেলে মুরসালিনের খবর নিতে দৌঁড়ে মাদরাসায় চলে যাওয়ায় ৮০ হাজার টাকা দামের খাটসহ কিছুই বাঁচাতে পারেননি সৌদি প্রবাসী রেজাউল ভাইয়ের স্ত্রী। মাদরাসার বাচ্চারা কে কোথায় আছে, সবাই বের হতে পারলো কিনা, মুরসালিন গেল কোথায়, জিহাদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, মাসতূরা কোথায় ইত্যাদি খোঁজাখুঁজি করতে করতে ফ্রিজ, ল্যাপটপ, জমির দলিল, জমা খরচের খাতা, ভাউচার, ক্যাশ বাক্স, রশিদ বই ও সার্টিফিকেটসহ পুড়ে ছারখার হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সব কাগজপত্র। বাঁচানো যায়নি তিনটি হাফ বিল্ডিং ও একটি টিনের ঘরের ১০টি কক্ষের কোন আসবাবপত্র। পুড়ে ভষ্ম হয়ে যায় সব। খবর পেয়ে দ্রুত এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, পৌর মেয়র মো. আমিনুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, ওসি তদন্ত, সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান, কাজিয়াকান্দা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জয়নুল আবেদীন, গোদারিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেক, আমুয়াকান্দা বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব হাফেজ মাওলানা মেরাজুল হক, ছনকান্দা বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব হাফেজ মাওলানা মুহিউদ্দিন, বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদর ইমাম ও খতীব হাফেজ মাওলানা মাইন উদ্দিন, মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ তাফাজ্জল হোসেন, পয়ারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম তোফাজ্জল হক, একেএম সিরাজুল হক, শহিদুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল আমিন, নাজিম উদ্দিন, খলিলুর রহমান, এটিএম রবিউল করিম রবি, মোস্তফা খান, ক্বারী সুলতান আহমাদ, রাকিবুল ইসলাম মাহফুজ, আতিকুর রহমান, আকিকুল ইসলাম, ইয়াকুব ও সেলিম রানা, হালুয়াঘাট থেকে আমার আম্মা, শ্বাশুড়ি, মামা, ভাই বোন, পাড়াপ্রতিবেশি অনেকে এসেছেন। এসেছিলেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম মিশু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের হালুয়াঘাট প্রতিনিধি সাইদুর রহমান রাজুসহ অনেকে। মালামাল রক্ষা করতে গিয়ে হাতে বাঁশ পড়ে আহত হন বিশিষ্ট সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম শফিক ভাই। সন্ধায় এসে পুড়া বাড়ি পরিদর্শন করেন সাবেক এমপি এড. আবুল বাসার আকন্দ ও বিএনপির রকিবুল হাসান সোহেল ভাই। এছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারাকান্দার নুরুজ্জামান বকুল ভাইয়ের মাধ্যমে জেনেছি মাননীয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বিষয়টি জেনেছেন এবং আমাদের প্রতি তিনি সমবেদনা ও দু:খ প্রকাশ করে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। নাফিওর মাধ্যমে মোবাইলে খবর নিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন ডিসি মিজানুর রহমান। আমাকে সরাসরি ফোন করে খবর নিয়েছেন আমার প্রিয় পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার রুকনুজ্জামান অঞ্জন ভাই, মফস্বল এডিটর শ্রদ্ধেয় শায়খুল হাসান মুকুল ভাই, সাব-এডিটর বাজিত হোসেন, সাপ্তাহিক ফুলপুর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মুকুল ভাই, বালিয়া মাদরাসার সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মুজিবুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া পারভীন লাকি ও লন্ডন থেকে ফুলপুরের সাবেক ইউএনও মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, আনন্দ মোহন কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকবর আলী আহসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার সাদেকুল ইসলাম, মাদারীপুরের মাওলানা লুৎফুর রহমান ভাই, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রতিষ্ঠিত দারুল কুরআন ইসলামিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাইমুন প্রমুখ। এছাড়াও দেশ ও দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা খোঁজখবর নিয়েছেন। পরের দিন ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের মাঝে একশত কম্বল বিতরণ করেন। বর্তমানে আমাদের বড় বড় ছাত্র ও ক্লিন সোসাইটির সদস্যদের দ্বারায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলতেছে। শনিবার প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ শনিবার থেকে ক্লাস চলবে।

Shares