এবার কক্সবাজার শহর থেকে সরাসরি জাহাজ যাবে সেন্টমার্টিনে
প্রকাশিতঃ ৮:৫৮ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ৩০, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪২১ বার
শুধু টেকনাফ ঘাট থেকেই নয়, এখন থেকে কক্সবাজার শহর থেকেই বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন যাওয়া যাবে।
“এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস” জাহাজের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৯৫ কিলোমিটার রোমাঞ্চকর সমুদ্র ভ্রমণের সাথে মেতে ওঠার সুবিধা পাবেন ৫৮২ জন যাত্রী। এছাড়া জাহাজ থেকে সমুদ্র, পাহাড় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় “সমুদ্র যাত্রা” অনুষ্ঠান উদ্বোধনের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হচ্ছে। প্রথম সমুদ্র যাত্রা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- জাহাজের দ্বার উন্মোচন, বঙ্গোপসাগরে বিচরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেজবান। উদ্বোধনের পরদিন শুক্রবার থেকেই পর্যটকরা কক্সবাজার থেকে সরাসরি সাগর পথে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন সরাসরি কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের কারণে পর্যটকদের ঝামেলা নানা হয়রানি থেকে রেহাই পাবেন। কক্সবাজার থেকে সড়কপথে টেকনাফ যাওয়া এবং সেখান থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না তাদের।
জাহাজটির কক্সবাজারের পরিচালক ও ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া (এয়ারপোর্ট রোড) বিআইডব্লিওটিএ ঘাট থেকে নিয়মিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে জাহাজটি। কক্সবাজার ঘাট থেকে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল ৭টায়। সেন্টমার্টিন থেকে ছাড়বে প্রতিদিন বিকেল ৩টায়। উভয়দিক থেকে গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। কিছুদিন পর সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় আরও ১ ঘণ্টা পেছানো হবে।
এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজের ইকোনমি আসনের (২য় শ্রেণি চেয়ার) ভাড়া (আসা-যাওয়া) জনপ্রতি দুই হাজার টাকা। এছাড়া বিজনেস শ্রেণি আসন (১ম শ্রেণি চেয়ার) ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৫০০ টাকা। মোট ১৭টি লাক্সারি ক্লাস কেবিন রয়েছে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজে।
ইকোনমি শ্রেণি কেবিনের (২য় শ্রেণি) ভাড়া ১২ হাজার টাকা ও লাক্সারি ক্লাস (ভিআইপি) কেবিনের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি কেবিন দুজনের জন্য প্রযোজ্য, অতিরিক্ত জনপ্রতি আলাদা সাধারণ টিকিট কেটে নিতে হবে। প্রতিটি টিকিটের সঙ্গে সৌজন্য নাশতা অন্তর্ভুক্ত। কোনো যাত্রী ভিন্ন তারিখে ফিরতে চাইলে তা টিকিট সংগ্রহ করার সময় উল্লেখ করতে হবে।
হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর আরও জানান, প্রায় ৫৫ মিটার দীর্ঘ ও ১১ মিটার প্রস্থ জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। জাহাজটিতে ১৭টি ভিআইপি কেবিন রয়েছে। এই নৌ-যানে ভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় ৫১০টি আসন ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে প্রশস্ত কনফারেন্স হল, ডাইনিং স্পেস ও সি ভিউ ব্যালকনি।
উন্নত ও আধুনিক নেভিগেশন ব্যবস্থার জন্য রয়েছে জিপিএস, ইকোসাউন্ডার, রাডার, কম্পাস ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম লাইফ জ্যাকেট, লাইফ র্যাফট, লাইফ বয়ার পাশাপাশি রয়েছে ইমারজেন্সি লাইফ সেভিং বোট।