ভালো নেই মুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক
প্রকাশিতঃ ৯:৩৭ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩২৬ বার
তোফাজ্জেল হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: দারিদ্রের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাস্ত হয়ে এখন মানুষের দয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন এক হতভাগ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর নাম আঃ রাজ্জাক হাওলাদার(৭০)। পিতার নাম মৃত আলী হোসেন হাওলাদার। বাড়ী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মল্লিকডুবা গ্রামে। জীবন বাজী রেখে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম এখনও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ওঠেনি। সেই বঞ্চিত তালিকার একজন আঃ রাজ্জাক।
জানা গেছে, রাজ্জাক ১৯৭১ সালে নিজ ইউনিয়ন কেশবপুরের নূরু মুহুরি,সেকান্দার তালুকদার, আঃ কাশেম মেলকার ,ইউনুছ ডাক্তারসহ আরও কয়েকজন টগবগে যুবক মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে তাঁরা ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল ও স্থানীয় কমান্ডার গাজী পঞ্চম আলীর নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। দেশ স্বাধীন হলে সহযোদ্ধাদের অনেকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় স্থান পেলেও বাদ পড়েন রাজ্জাক। নাম তালিকাভুক্ত করতে তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল বরাবর আবেদন নিবেদন করলেও আশানুরুপ ফল লাভে ব্যর্থ হয়েছেন। এক সময়ে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হলেও পারেননি নিজের জন্য কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা করতে। তাই স্বাধীনতার পর থেকেই জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য রোজ আয়ের কাজ বেছে নিতে হয় তাঁকে।এরপর ২০১২ সালে থেকে ডায়বেটিকস, উচ্চ রক্ত চাপ ও চক্ষুরোগসহ নানা রোগ বাসা বাঁধে তাঁর শরীরে। সুচিকিৎসার অভাবে ইতিমধ্যে একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। ফলে শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করতে অক্ষম হয়ে যান। বাপ-দাদার জমিজমা না থাকায় হতদরিদ্র আঃ রাজ্জকের এমনেই সংসারে যখন নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা তার সঙ্গে যুক্ত হয় চিকিৎসা খরচ। সংসারের চাকা ঘোরাতে নুন্যতম সম্মানজনক সব আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেলে নির্মম বাস্তবতার মুখে তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়াতে হয় অন্যে কাছে। সেই অর্থ দিয়ে তাঁর সংসার চলে। রাজ্জাকের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও পাঁচ ছেলের সংসার। আর্থিক অসচ্ছলতা কারনে ভাইয়ের দেয়া অর্থে তৈরী ছোট্র একটি দোচালা ঘরে বসবাস করেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক এখনও আশা করে আছেন, সরকার তাঁর মতো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি তালিকায় অর্šÍভুক্ত করবে।তাঁর সংসারে অন্তত দুমুঠো ভাতের ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।