হালুয়াঘাটের ভিক্ষুক ও অন্ধ প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সালমান ওমর রুবেল
প্রকাশিতঃ ৬:২৫ অপরাহ্ণ | জুন ১৪, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৭৩ বার
ওমর ফারুক সুমনঃ উপজেলার ৪নং সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোবড়াকুড়া গ্রামের দুই অন্ধ প্রতিবন্ধী সন্তানসহ একই পরিবারের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়ালেন ওমর ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপিনেতা সালমান ওমর রুবেল। তিনি সরেজমিনে ঐ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন এবং তাদের হাতে নগদ টাকা, কাপড় ও ঈদ সামগ্রী তুলে দেন। এই পরিবারটির মূল অভিভাবক প্যারালাইসিস রোগী তরিকুল ইসলাম। তার ১০ বৎসরের একটি ফুঁটফুটে মেয়ে হোসনা। যার কিনা এখন বিদ্যালয়ে থাকার কথা। সেই বিদ্যালয় ছেড়ে হোসনা এখন ভিক্ষুক ও অন্ধ বাবার একমাত্র সঙ্গী হয়েছেন। পিতার চোখের আলো না থাকায় এক মুঠো ভাতের আশায় তার পিতার পথপ্রদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ভিক্ষুক বাবার একমাত্র সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই হোসনা। হোসনার ভিক্ষুক পিতা তরিকুলের দুটি চোখই জন্ম থেকেই অন্ধ। অপরদিকে শারিরীক প্রতিবন্ধীও। স্ত্রী মরিয়ম আক্তার তিনিও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। ঘরে রয়েছে দুই-সাত ও দশ বছরের মরিয়ম, হোসনা ও ইয়াসিন নামে তিন শিশু সন্তান। আয়ের উৎস শূণ্যের কোঠায়। সংসারে হাল ধরার মত কেউ নেই। ভিক্ষের থালাটিই তার একমাত্র ভরসা। জীবন সায়াহ্নের শেষ প্রান্তে চলে এসেও এই হতভাগ্য তরিকুলের ভাগ্যের চাকা প্রতিনিয়ত দুমড়ে মুচরে হামাগুড়ি খাচ্ছে। এক কথায় পুরো পরিবারটি ভিক্ষের থালার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
দুটি চোখই অন্ধ থাকায় ভিক্ষে করতেও তরিকুলের রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। পথ চলতে সারাক্ষন সঙ্গে নিতে হয় ১০বছরের ফুটফুটে মেয়ে এই হোসনাকে। ভিক্ষুক তরিকুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাবা আমি জন্ম থেকেই পোড়া কপাল নিয়ে জন্মেছি। মানুষ এখন আর ভিক্ষে দিতে চাইনা। প্রতিদিন সকাল হলেই বের হয়ে যায় ভিক্ষের থালাটি হাতে নিয়ে। কোনদিন ২০ টাকা কোনদিন ৫০ টাকা ভিক্ষে পেয়ে থাকি। তিনি বলেন বেশিদূর হাটতে পারিনা। সে জন্যে ঠিকমত ভিক্ষেও করতে পারিনা। খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে অধিকাংশ সময় পার করতে হয় আমাকে। স্ত্রী মরিয়ম(৩৫) কানে না শোনাই তাকেও কেউ কাজ দিতে চাইনা। এই দুঃসময়ে সংসারে হাল ধরবার কেউ নেই তার। নিজের ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভাববার মত কোন সুযোগ নেই আমার। হতভাগ্য তরিকুল আক্ষেপ করে বলেন, আমাকে যদি সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন তাহলে নিজের সন্তানদের জন্যে কিছু একটা করে যেতে পারতাম। এভাবেই মনের আকুতি জানালেন এই হতভাগ্য ভিক্ষুক তরিকুল। ###